অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে ইংল্যান্ড ফাইনালে



এম. এম. কায়সার, স্পোর্টস এডিটর,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বার্মিংহ্যাম, ইংল্যান্ড থেকে
জেসন রয়ের ব্যাটেই ইংল্যান্ড পেলো অনায়াস জয়- ছবি: আইসিসি

জেসন রয়ের ব্যাটেই ইংল্যান্ড পেলো অনায়াস জয়- ছবি: আইসিসি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংল্যান্ড যে সহজ কায়দায় সেমিফাইনাল জিতলো, দেখে মনে হলো যেন বিকেলে বাগানে বেড়িয়ে এলো!

এতই সহজ! এতই অনায়াস!

৮ উইকেটের বড়ো জয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে এলো ইংল্যান্ড। তখনো ম্যাচের ১০৭ বল বাকি! সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কষ্টকর ২২৩ রান ইংল্যান্ড টপকে গেলো আয়েশি ও দাপুটে ভঙ্গিতে, হেসে-খেলে। ঐ যে বাগানে হেঁেট আসার মতো সহজ আনন্দে!

দীর্ঘ ২৭ বছর পর ইংল্যান্ড আরেকবার বিশ্বকাপের ফাইনালে নাম লেখালো। ১৪ জুলাই লর্ডসে যে ফাইনালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। দু’দলের কেউ এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ফাইনালে জেতেনি। সেই হিসেব বদলে যাচ্ছে ১৪ জুলাই।

এর আগে চারবার বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলেছে ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড খেলেছে একবার। কিন্তু কোনবারই চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি এই দু’দলের কেউ। সেই হিসেবও বদলে যাচ্ছে এবার। বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে।

এজবাস্টনের সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার মামুলি ২২৩ রানের তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোর মারকুটো ব্যাটিংয়েই মুলত এই ম্যাচের সমাধান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড। ওপেনিং জুটিতে তারা তুলে ১২৪ রান। তাও আবার মাত্র ১৭.২ ওভারে। ৪৩ বলে ৩৪ রান করে বেয়ারস্টো আউট হন। অন্যপ্রান্তে জ্যাসন রয়ের ব্যাটে তখন ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের সুর। মাত্র ৬৫ বলে ৮৫ রানে হাসলো তার ব্যাট। ৯ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কায় সাজানো জ্যাসন রয়ের এই ব্যাটিংই অস্ট্রেলিয়ার বোলিং বিভাগকে উড়িয়ে দিলো।
উইকেট পড়ছে না দেখে পার্টটাইম স্পিনার স্টিভেন স্মিথকে আক্রমণে আনেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারেন ফিঞ্চ। দারুণ ফর্মে থাকা জ্যাসন রয় স্টিফেন স্মিথের সেই ওভারে টানা তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকান। সেই ওভারে স্মিথ খরচা গুনেন ২১ রান!

যেভাবে খেলছিলেন জ্যাসন রয় তাতে নিজের অভিষেক বিশ্বকাপে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির খুব কাছে পৌছে গিয়েছিলেন। কিন্তু আম্পায়ার কুমার ধর্মাসেনা সেটা হতে দিলেন কই? চরম ভুল সিদ্ধান্ত দিয়ে ধর্মসেনা তাকে আউট ঘোষণা করলেন। বল তার ব্যাটেই লাগেনি। অথচ ধর্মসেনা জানালেন তিনি ক্যাচ আউট। ইংল্যান্ডের রিভিউ আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই রিভিউ নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। আম্পায়ারকে শাপ-শাপান্ত করতে করতে মাঠ ছাড়লেন জ্যাসন রয়, সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৫ রান দুরুত্বে তখন তিনি।

২০ ওভারে ১৪৭ রানে ২ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে জয়ের পথ দেখান অধিনায়ক ইয়ূন মরগান ও জো রুট।

সকালে টস জয়ী অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের কোমরটা ভেঙ্গে যায় পাওয়ার প্লে’তেই। ১৪ রানে শুরুর ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার সেই যে ধুঁকে চলা শুরু, ব্যাস ব্যাটিংয়ের কোমরটা সোজা হলো না! অ্যালেক্স ক্যারি চোট নিয়েও লড়ে গেলেন। এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের ৪৬ এবং স্টিভেন স্মিথের ৮৫ রান ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাকি সবাই ব্যর্থ ব্যাটসম্যান।

২২৩ রান নিয়ে ইংল্যান্ডের মতো অসাধারণ ব্যাটিংয়ের দলকে আটকানো যায় না। বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল থেকে প্রথমবারের মতো বিদায় নিয়ে এখন সেই দুঃখেই কাতর অস্ট্রেলিয়া।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে-অস্ট্রেলিয়া তাদের আগের ছয়টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কখনো হারেনি। সেমিফাইনাল জয়ের সেই রেকর্ড আর তাদের অটুট রইলো না।

এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই ইংল্যান্ড হট ফেভারিট। সেই মর্যাদা নিয়েই ১৪ জুলাইয়ের ফাইনালে উঠে এলো স্বাগতিকরা।

ইটস্ কামিং হোম-গানটা বার্মিংহ্যামের এজবাস্টন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ছাপিয়ে এখন পুরো ইংল্যান্ড জুড়েই শোনা যাচ্ছে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

অস্ট্রেলিয়া: ৪৯ ওভারে ২২৩/১০ (ওয়ার্নার ৯, ফিঞ্চ ০, স্মিথ ৮৫, হ্যান্ডসকম ৪, কেয়ারি ৪৬, স্টয়নিস ০, ম্যাক্সওয়েল ২২, কামিন্স ৬, স্টার্ক ২৯, বেহরেনডর্ফ ১, লায়ন ৫*; ওকস ৩/২০, আর্চার ২/৩২, উড ১/৪৫,  রশিদ ৩/৫৪)।
ইংল্যান্ড: ৩২.২ ওভারে ২২৬/২ (রয় ৮৫, বেয়ারস্টো ৩৪, রুট ৪৯*, মরগান ৪৫*; স্টার্ক ১/৭০, কামিন্স ১/৩৪)।
ফল: ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: ক্রিস ওকস

   

বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেট সেরা বোলিংয়ে রাজার সঙ্গী যারা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে জাকির হাসানের ক্যাচ বানিয়ে শুরু। সাকিব, সোহান, ইয়াসির রাব্বিসহ এভাবে একে একে শেখ জামালের আট ব্যাটসম্যানই শিকার রেজাউর রহমান রাজার। ৬ ওভার ৩ বলের স্পেলে ২৩ রানে শিকার আট উইকেট। রাজার এই বোলিং পরিসংখ্যানই লিস্ট এ ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা।

রাজা বোলিংয়ে আসার আগেই সাজঘরে ফেরেন শেখ জামালের দুই ওপেনার। যে তান্ডব রাজা চালিয়েছিলেন তাতে ঝুঁকি নিয়ে একটা কথা বলে যেতেই পারে ওপেনিং স্পেলে বল করলে রাজা হয়তো দশ উইকেটই পেতেন। আবার এভাবেও বলা যায়, হাতে উইকেট থাকলে কিংবা আর দুই এক ওভার বল করলেই পেতে পারতেন দশ উইকেটও। কারণ ২৩ রানে আট উইকেট শিকারের দিন এতোটাই ভয়ঙ্কর ছিলেন রাজা।

লিস্ট এ তে বাংলাদেশি বোলারদের মাঝে এতোদিন সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিলো ইয়াসিন আরাফাত মিশুর।  ২০১৮ সালে গাজী গ্রুপের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে ৪০ রানে নিয়েছিলেন ৮ উইকেট।

তিনে আছেন আব্দুর রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিন কিংবদন্তি ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ে ‘এ’ দলের বিপক্ষে ১৭ রানে শিকার করেন ৭ উইকেট।

চলতি ডিপিএলেই ২০ রানে সাত উইকেট শিকার করা আবু হায়দার রনি আছে লিস্টের চারে।

;

টানা দ্বিতীয়বার ফেড কাপের ফাইনালে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান। সেমিফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ২-১ গোলের জয়ে টানা দ্বিতীয়বার ফেডারেশন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা।

আজ (মঙ্গলবার) মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে অনেকটা সেয়ানে-সেয়ানে লড়াই করে দুই দল। একের পর আক্রমণ গড়েও মোহামেডান পুলিশের গোলমুখ উন্মুক্ত করতে পারেনি। অন্যদিকে এই অর্ধে যে কয়টি সুযোগ এসেছিল তা লুফে নিতে না পারার আক্ষেপ ছিল পুলিশের।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সে আক্ষেপ ঘুচে যায় তাদের। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই মোহামেডান বক্সে পুলিশের হানা। ৪৬ মিনিটে মুরিওর ফ্রি কিকে হেড করেন উখমাতোভ, পোস্টে লেগে বল প্রবেশ করে জালে। মোহামেডান গোলকিপার সুজন তা ঠেকাতে পারেননি।

পিছিয়ে পড়ার দ্বিগুণ উদ্যমে আক্রমণ শানায় মোহামেডান। ৬৮ মিনিটে ইমানুয়েল সানডে জাল খুঁজে পেলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে মোহামেডান। বক্সের ভেতর সুলেমান দিয়াবাতের শট ব্লক হওয়ার পর ফিরতি শটে গোল পেয়ে যান সানডে।

৭৯ মিনিটে জয়সূচক গোলটাও পেয়ে যায় মোহামেডান। এ যাত্রায় গোলের কারিগর বনে যান সানডে। তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে মোহামেডানকে আনন্দে ভাসান শাহরিয়ার ইমন।

আগামী ১৪ মে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস।

;

ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন তৈয়ব হাসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফা'র আমন্ত্রণে দুবাই যাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু।

বুধবার (৮ মে) তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। এদিন এমিরেটস এয়ারলাইনযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে পৌঁছে অনুষ্ঠিতব্য কর্মসূচিতে যোগদান করবেন তিনি। সেখান থেকে আগামী ১২ মে তিনি দেশে ফিরবেন।

রাষ্ট্রীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফিফা এলিট রেফারি তৈয়ব হাসান বাবু বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ১৮ বছর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিফা রেফারি হিসেবে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন এএফসি-তে তিনি ১০ বছর এলিট রেফারি হিসেবে দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনিই সবচেয়ে বেশি (শতাধিক) আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেন।

দেশের ইতিহাসে প্রথম ও একমাত্র ইন্টারন্যাশনাল রেফারি অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত (এএফসি রেফারিজ মোমেন্তো অ্যাওয়ার্ড) রেফারি তৈয়ব। এশিয়ার সেরা ২৫ রেফারির তালিকায় থাকা তৈয়ব হাসান প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারি হিসেবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে (নেপাল-২০১৩) প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন। রেফারি হিসেবে তিনি সর্বাধিকবার বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বও করেন।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যে জার্সিটি পরে তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান রেফারির দায়িত্ব পালন করেছিলেন, স্মরণীয় সেই জার্সিটি ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করে করোনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সাহায্যার্থে প্রদান করেছিলেন এই কৃতি রেফারি।

করোনা মহামারিতে এমন মহৎ কাজের জন্য তৈয়ব হাসান বাবু দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়া পদক- জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। পুরস্কারের অর্থ এক লাখ টাকা তিনি দুস্থ, পুষ্টিহীন শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করেন।

রেফারিংয়ে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি), বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি, বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, সোনালী অতীত ক্লাবসহ বিভিন্ন সংস্থা-প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তৈয়ব হাসান বাবুকে পুরস্কৃত করেছে।

 

 

;

রোমাঞ্চকর জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ের লেজের সারির ব্যাটার ফারাজ আকরাম লড়াই করলেন। ব্যাটিং ধসের পর ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে রইলেন। টপ এবং মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় জয় তবু অধরাই রইল তাদের। বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ জয়লাভ করল ৯ রানে। এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ দুই ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশের দেয়া ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে ওপেনার জয়লর্ড গামবিকে হারায় জিম্বাবুয়ে। সাইফউদ্দিনের বল ক্যাচ তুলে দেন গামবি, ডিপ থার্ড ম্যানে থাকা মাহমুদউল্লাহ সহজ ক্যাচ তালুতে জমিয়ে গামবির বিদায় নিশ্চিত করেন। 

পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে অভিজ্ঞ ক্রেইগ এরভিনকেও নিজের শিকার বানান এই সিরিজ দিয়ে ১৮ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন। তার বলে ঠিকঠাক শট না খেলতে পেরে বল স্টাম্পে টেনে আনেন এরভিন (৭)।

সাইফউদ্দিনের দুই উইকেটের মাঝে ব্রায়ান বেনেটকে কট এন্ড বোল্ড করেন শরিফুলের জায়গায় একাদশে ঢোকা তানজিম সাকিব। প্রথম ৬ ওভারে ৩৩ রান তুলতেই এই তিন উইকেট হারিয়ে বসে সফরকারীরা।

পাওয়ার প্লে’র পরও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খোয়াতে থাকে জিম্বাবুয়ে। টি-টোয়েন্টির বিচারে অসম্ভব কোনো লক্ষ্য না হলেও ১৬৬ রান তাড়ায় একেবারেই ছন্দ খুঁজে পায়নি সিকান্দার রাজার দল।

জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার গতিতে পরাস্ত হয়, মিডল অর্ডার ঘূর্ণিতে। তবে লেজের সারির ব্যাটিংয়ে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেয়ার স্বপ্ন দেখে জিম্বাবুয়ে। নবম উইকেটে ৫৪ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন ফারাজ এবং ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে ফারাজ ১৯ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে থামে সফরকারীরা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ২৯ রান তুলতেই হারাতে হয়েছে ২ উইকেট। ফর্মহীনতা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছেন লিটন দাস। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকে আদৌ দলে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে যখন জোর আলোচনা চলছে, তখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে হাস্যকরভাবে নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন লিটন। মুজারাবানিকে টানা দুইবার স্কুপ করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েও তৃতীয়বার একই কাজ করার চেষ্টা করে বোল্ড হয়েছেন। ফেরার আগে ১৫ বলে করেছেন ১২ রান।

অধিনায়ক শান্তও ক্রিজে থিতু হতে পারেননি। সিকান্দার রাজার আর্ম বল খেলতে গিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন।

চতুর্থ উইকেটে হৃদয়-জাকের মিলে গড়ে তোলেন ৮৭ রানের জুটি। তাদের জুটিতে লড়াইয়ের রসদ পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৯তম ওভারে মুজারাবানির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করেছেন হৃদয়। একই ওভারে মুজারাবানির ইয়র্কারে ধরাশায়ী হওয়া জাকের আলি করেছেন ৪৪ রান। তাদের নৈপুণ্য ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।

আগামী ১০ মে (শুক্রবার) পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে।

;