স্টিফেন হকিংকে মনে রাখবে মহাকাশবিজ্ঞান



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
দীর্ঘদিন যাবত মোটর নিউরন ডিজিজের সাথে লড়াই করে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানিত এবং সুপরিচিত একজন বিজ্ঞানীতে পরিণত হওয়া স্টিভেন হকিং ৭৬ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি ছিলেন রসবোধ সম্পন্ন একজন মানুষ, বিজ্ঞানের একজন জনপ্রিয় দূত এবং তিনি সব সময় নিশ্চিত করতেন যেন তার কাজ সাধারণ মানুষেরা সহজে বুঝতে পারেন। তার লেখা বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম' অনেকটা ধারণার বাইরে বেস্ট সেলার বা সবচেয়ে বিক্রিত বইয়ে পরিণত হয়। যদিও এটা পরিষ্কার না ঠিক কতজন পাঠক এই বইয়ের শেষ পর্যন্ত যেতে পেরেছেন। জীবদ্দশায় তিনি বেশ কিছু টেলিভিশন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন এবং তার কৃত্রিম কণ্ঠস্বরে কথা বলেছেন। স্টিভেন উইলিয়াম হকিং ১৯৪২ সালে ৮ই জানুয়ারি অক্সফোর্ডে জন্ম নেন। তার বাবা ছিলেন একজন জীববিজ্ঞানের গবেষক এবং তিনি স্টিভেন হকিং-এর মাকে নিয়ে জার্মানের বোমার আঘাত থেকে বাঁচার জন্য লন্ডনে পালিয়ে আসেন। হকিং লন্ডন এবং সেন্ট অ্যালবানস এ বেড়ে ওঠেন। তিনি অক্সফোর্ডে পদার্থবিদ্যার ওপর প্রথম শ্রেণীর ডিগ্রী অর্জন করে ক্যামব্রিজে কসমোলজির উপর স্নাতকোত্তর গবেষণা করেন। ১৯৬৪ সালে যখন তিনি তার প্রথম স্ত্রী জেনকে বিয়ে করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন চিকিৎসকরা বলে দেন তিনি বড় জোর দুই থেকে তিন বছর বাঁচবেন। কিন্তু রোগটি যতটা দ্রুততার সাথে ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছিল তার চেয়ে কম গতিতে ছড়ায় তার শরীরে। ১৯৮৮ সালে তিনি তার বই 'এ ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম' প্রকাশ করেন। বইটির প্রায় এক কোটি কপি বিক্রি হয়- যদিও লেখক জানতেন যে বইটির পরিচিতি হয়েছে "পঠিত হয়নি এমন সর্বাধিক বিক্রিত বই" হিসেবে। তাদের তিন সন্তান আছে। ১৯৮৮ সালের মধ্যে হকিং এর অবস্থা এমন হল যে শুধুমাত্র কৃত্রিম উপায়ে কথা বলতে পারতেন তিনি। স্টিভেন হকিং দেখান যে কৃষ্ণগহ্বর কিভাবে শক্তিক্ষয় করতে করতে শূন্যে মিলিয়ে যায়, পরবর্তীতে যা হকিং বিকিরণ নামে পরিচিতি পায়। কঠিন গাণিতিক হিসেব এবং পরীক্ষা ছাড়া বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয় তুলে ধরার অসাধারণ ক্ষমতার কারণে তিনি বিশেষভাবে পরিচিতি পান। তবে তার "থিওরি অফ এভরিথিং" বা "সবকিছুর তত্ত্ব" মানুষকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে- যাতে তিনি ধারণা দেন যে মহাবিশ্ব কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যেই বিবর্তিত হয়। "এই মহাবিশ্বের শুরু কীভাবে হলো- এমন সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এসব নিয়ম", তিনি বলেন "কবে এর শেষ হবে? কীভাবে শেষ হবে? এসবের উত্তর যদি আমরা জানতে পারি, তাহলে আমরা আসলেই ঈশ্বরের মন বুঝতে পারবো"। বিখ্যাত মার্কিন কার্টুন সিম্পসনেও তার তারকা খ্যাতির চিহ্ন দেখা যায়- সিম্পসনের একটি পর্বে দেখানো হয় যে তিনি একটি পানশালায় কার্টুনটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হোমারের সাথে মদ্যপান করছেন এবং মহাবিশ্ব ডোনাট আকৃতির, হোমারের এমন একটি ধারণা চুরি করার চেষ্টা করছেন। এছাড়াও তাকে বিবিসির জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ রেড ডোয়ার্ফ, মার্কিন সিরিজ স্টার ট্রেক: নেক্সট জেনারেশন এবং বিগ ব্যাং থিওরির কয়েকটি পর্বে দেখা যায়। তার ভঙ্গুর শারীরিক অবস্থা সত্ত্বেও তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকেসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে তার কাজ চালিয়ে যান এবং ২০০১ সালে তার দ্বিতীয় বই- ইউনিভার্স ইন এ নাটশেল প্রকাশিত হয়। তিনি বিশ্বাস করতেন যে তার অসুস্থতা তার জন্য কিছু উপকারও এনে দিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, অসুস্থ হবার আগে তিনি জীবন নিয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন। অবশ্য তার শারীরিক অবস্থা অবধারিতভাবেই তাকে অন্যদের ওপর নির্ভরশীল করে তোলে। তিনি প্রায়শই তার প্রথম প্রথম স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতার কথা বলতেন, যিনি ২০ বছরেরও বেশি তার দেখাশোনা করেছেন। যদিও তিনি যখন তার একজন নার্সের জন্য প্রথম স্ত্রীর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন তখন তার বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনরা বেশ অবাক হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তিনি তার সাবেক নার্সকে বিয়ে করেন। ২০০০ সাল নাগাদ আঘাতের কারণে তিনি বেশ কয়েকবার কেমব্রিজের একটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন। ওই সময় একটি অভিযোগ আসে যে তিনি কয়েক বছর যাবত নানাভাবে মৌখিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। তবে তিনি ছিলেন বেশ খেয়ালী। তার হুইলচেয়ারটিই তিনি প্রায়সময় বেপড়োয়াভাবে চালাতেন এবং হকিং বারবার বলেন যে, তার এসব আঘাত কোনো নির্যাতনের কারণে হয়নি। পরে বিষয়টি নিয়ে পুলিশও আর আগায়নি। ২০০৭ সালে তিনি প্রথম চলৎশক্তিহীন ব্যক্তি হিসেবে একটি বিশেষ বিমানে ওজনশূন্যতার অভিজ্ঞতা নেন। মানুষকে মহাকাশ ভ্রমণে উৎসাহ দেয়ার জন্যই তিনি এটি করেছেন বলে জানান। "আমার বিশ্বাস পারমাণবিক যুদ্ধ, জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে তৈরি ভাইরাস অথবা অন্য কোন কারণে পৃথিবীতে প্রাণের অবসান হতে পারে। মানুষ যদি মহাকাশে না যায় তাহলে আমার মনে হয় মানবজাতির কোন ভবিষ্যৎ নেই। যে কারণে আমি মানুষকে মহাকাশে যাওয়ার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করতে চাই"। ২০১৪ সালে স্টিফেন হকিংয়ের জীবন নিয়ে তৈরি হয় 'থিওরি অব এভরিথিং' চলচ্চিত্র। জেন হকিংয়ের বর্ণনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় চলচ্চিত্রটি। ডিসকভারি চ্যানেলের সাথে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পৃথিবীর বাইরে কোনো বুদ্ধিমান জীবনের উপস্থিতি আছে এমন ধারণা করাটা সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং এলিয়েন বা ভিনগ্রহবাসীরা প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজে পৃথিবীতে অভিযান চালাতে পারে।
   

তানজানিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে নিহত অন্তত ১৫৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারী বৃষ্টিপাতের পর বন্যা ও ভূমিধসে পূর্ব আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় কমপক্ষে ১৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শতাধিক মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ইতোমধ্যেই প্রায় ২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী কাসিম মাজালিওয়া জানিয়েছেন, তানজানিয়ায় এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৫৫ জন মারা গেছেন।

মে মাস পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে জানিয়েয়ে তিনি সতর্ক করে দিয়ে মানুষ ও পরিবারগুলোকে বন্যাপ্রবণ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কাসিম আরও জানিয়েছেন, প্রায় ২ লাখ মানুষ এবং ৫১ হাজারেরও বেশি পরিবার ইতোমধ্যেই এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অংশে প্রবল বাতাস, বন্যা এবং ভূমিধসের সাথে এল নিনোর কারণে প্রবল বৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে জীবনহানি, ফসল, বাড়িঘর, নাগরিকদের সম্পত্তি এবং রাস্তা, সেতু এবং রেলপথের মতো অবকাঠামোর ধ্বংসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’

বিবিসি বলছে, ভারী বৃষ্টিপাত প্রতিবেশী কেনিয়া এবং বুরুন্ডিতেও হচ্ছে, যার ফলে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে।

;

ভারতের লোকসভা নির্বাচন

রাহুল, শশী, হেমা মালিনীর ভাগ্য পরীক্ষা আজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের ১৮তম লোকসভার সাত দফা ভোটের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ভোট হচ্ছে ৮৮টি আসনে। এই দফার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা, বলিউড তারকা হেমা মালিনীসহ এক ঝাঁক হেভিওয়েট প্রার্থী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্যেরও ‘ভাগ্যপরীক্ষা’ হবে এই দফার ভোটে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে তুমুল বিতর্ককে সঙ্গী করে। ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস দেশের সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বাঁটোয়ারা করে দেবে জানিয়ে সেই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। কদিন ধরেই ওই বিতর্ক ঘিরে ভোটের রাজনীতি সরগরম। এই বিতর্ক দ্বিতীয় দফার ভোটে হিন্দুত্ববাদীদের বেশি করে ভোটদানে উৎসাহিত করে দেশব্যাপী ধর্মীয় মেরুকরণ ঘটায় কি না, সেটাই হতে চলেছে প্রধান দ্রষ্টব্য।

জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তার পুরনো আসন, কেরালার ওয়েনাড় থেকে এবারও ভোটে লড়ছেন। সেখানে তার মূল লড়াই বাম জোট এলডিএফের সিপিআই প্রার্থী অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে। তিনি সিপিআই সাধারণ সম্পাদক ডি রাজার স্ত্রী। রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রনও। কেরালা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী তারুর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল (আলাপুঝা) ভোটে লড়ছেন। সিপিএমের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী দুই সাবেক মন্ত্রী কেকে শৈলজা এবং টমাস আইজ্যাক (পথনমথিট্টা)।

সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য এ বিজয়রাঘবনও প্রার্থী পালাক্কাড় আসনে। কেরালা থেকেই ভোটযুদ্ধে রয়েছেন বিজেপির দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী— রাজীব চন্দ্রশেখর (তিরুঅনন্তপুরম) এবং ভি মুরলীধরন (অত্তিনগল)। মোদি মন্ত্রিসভার সদস্য গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত তার পুরনো আসন রাজস্থানের জোধপুর থেকেই আবার ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওই রাজ্যের কোটা থেকে বিজেপি প্রার্থী, বিদায়ী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। অন্য দিকে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতের ছেলে বৈভব (জালোর) এবং একদা পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক সিপি জোশী মরুরাজ্যে কংগ্রেসের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী।

দ্বিতীয় দফার ভোটের লড়াইয়ে দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী, কর্নাটকের এইচডি কুমারস্বামী (মান্ড্য) এবং ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বঘেল (রাজনন্দগাঁও) রয়েছেন। কুমারস্বামী জেডিএস এবং ভূপেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির টিকিটে লড়ছেন দুই অভিনেতা হেমা মালিনী (মথুরা) এবং অরুণ গোভিল (মিরাট)। হেমা মথুরার দু’বারের সংসদ সদস্য। আশির দশকে টিভি সিরিয়াল রামায়ণে রামের ভূমিকায় অভিনয়কারী অরুণ এ বার প্রথম নির্বাচনী ময়দানে।

দ্বিতীয় দফায় কেরালার ২০টি লোকসভা আসনের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ হবে। তাছাড়া কর্নাটকের ১৪, রাজস্থানের ১৩, উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের আটটি করে, বিহার ও আসামের পাঁচটি করে লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ত্রিপুরা এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের একটি করে লোকসভা আসনও।

;

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;