সেনাদের বাধায় মিয়ানমারে জাতিসংঘ নাগরিক অধিকার চুক্তি বাতিল



খুররম জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও তাদের জোটের বিরোধীতার কারণে দেশটির সংসদ আন্তর্জাতিক নাগরিক অধিকার চুক্তিতে (আইসিসিপিআর) যোগদানের প্রস্তাব বাতিল করেছে।

মিয়ানমারের সংসদের নিম্নসভা এ বিল বাতিল করেছে, কারণ এ কক্ষে সেনাবাহিনীর বেশ কিছু এমপি কোটার ভিত্তিতে স্থায়ীভাবে বহাল রয়েছেন। বিশেষত তাদের বিরোধিতায় এ বিলটি বাতিল হয়ে যায়।

মিয়ানমারের জান্তা আমলের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের এক চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ কারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হচ্ছে এনএলডিকে।

এনএলডির সদস্য এমপি ডাউ তান্দার ২০১৯ সালে ২১ মে অনুমোদনের জন্য এ চুক্তিটি নিম্ন সভায় জমা দিয়েছিলেন।

নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) এ প্রস্তাবটিতে ভোট দেওয়ার সময় সামরিক সংসদ সদস্য এবং তাদের মিত্ররা মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) বলেছে, এ চুক্তিটি দেশের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করতে এবং এর সুরক্ষা বিপন্ন করতে পারে।

তারা এও বলেছে যে অনুমোদনের জন্য আন্তর্জাতিক চুক্তি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়নি, কারণ কোনও এনএলডি সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পরিবর্তে নিম্ন কক্ষে এ চুক্তিটি জমা দিয়েছিলেন।

সামরিক এমপিরা বলছেন, ২০০৮ এর সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুমোদনের প্রস্তাব দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে সংসদের মারফতে।
সে জন্য এটি আগে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে নিতে হবে। রাষ্ট্রপতি অনুমোদন দিলে তা সংসদে উঠবে।

এ সম্পর্কে সামরিক এমপি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মায়ো হেত উইন বলেন, সংসদ যদি রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়াই এ চুক্তিটি অনুমোদন করে, তবে এটি সরকারের দু’টি সমমানের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করতে পারে।

আরেক সামরিক এমপি লেফটেন্যান্ট কর্নেল অং জিন মিন বলেন, এ চুক্তির বিধানগুলো আরও বিশ্লেষণ করা দরকার। কারণ এগুলো অত্যন্ত জটিল এবং এটি অনুমোদিত হলে মিয়ানমারকে অনেক বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে।

এনএলডির সদস্য এমপি ডাউ তান্দার বলেন, আইসিসিপিআরে স্বাক্ষর করার মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে মানবাধিকার সুরক্ষিত ও প্রচার করে এমন একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করব। আইসিসিপিআর স্বাক্ষর করা একটি গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার পক্ষে সমর্থন নিশ্চিত করে এবং দেশকে আন্তর্জাতিক আস্থা ও স্বীকৃতি দেবে।

এনএলডির আরেক বিধায়ক ইউ লুইন কো লাত বলেন, আমি আইসিসিপিআরে স্বাক্ষরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি। কারণ এটি রাজনৈতিক অধিকার রক্ষা করবে। একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্যক্তি অধিকার রক্ষা করার মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করতে পারি যে আমরা আমাদের জনগণের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি।

বিরোধী ইউনিয়ন সংহতি ও উন্নয়ন দলের সদস্য ইউ মাং মাইন্ত এনএলডি আইন প্রণেতাদের এ চুক্তি স্বাক্ষরের তাৎপর্য পুরোপুরি বোঝাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন।

তিনি বলেন, আমি নিশ্চিত যে এ কক্ষের বেশির ভাগ সংসদ সদস্য (এমপি) প্রস্তাব জমা দেওয়ার আগে আইসিসিপিআর সম্পর্কে কিছুই জানতেন না।

তিনি উল্লেখ করেন, ১৭২টি দেশ আইসিসিপিআর স্বাক্ষর করলেও সিঙ্গাপুর করেনি।

তিনি জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা দেশগুলোকে এ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউ থেইন সেনের সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে বলেন, কিন্তু তিনি বিনয়ের সঙ্গে এটি অস্বীকার করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আইসিসিপিআরে স্বাক্ষর করার সঠিক সময় এটি নয়। কারণ এটি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিটির (ইউএনএইচআরসি) একটি অঙ্গ। অনেক দিন ধরেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক তদন্ত কর্মকর্তা
ইয়াংহি লি মিয়ানমারে আসতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন। মিয়ানমারে তাকে প্রবেশ করতে দেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে সরকার।

আইসিসিপিআর চুক্তি স্বাক্ষর করা হলে ইয়াংহি লির মতো মানবাধিকার প্রতিনিধিদের ভিসা অস্বীকার করা অসম্ভব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দেশটির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ইউ কিউ থিন সংসদকে চুক্তিটি স্বাক্ষর করার জন্য প্রস্তাবটি রেকর্ডে রাখার আহ্বান করে বলেন, ২০১৯ সালে আসন্ন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে আইসিসিপিআরের সঙ্গে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে আরও সময় প্রয়োজন।
মন্ত্রণালয় চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, চুক্তি স্বাক্ষর করতে বিলম্বের জন্য কমিশনের কোনো প্রভাব নেই, তবে মিয়ানমার অবশেষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে ভালোই হবে।
আমরা সংসদীয় প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে পারি না, তবে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে, সব নাগরিকের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারকে সমর্থন এবং সুরক্ষার জন্য এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করা ভালো।

মিয়ানমার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এমএনএইচআরসি) চেয়ারম্যান ইউ উইন মরা এ সিদ্ধান্ত সম্পর্কে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ চুক্তি স্বাক্ষর করতে দেশটির আরও কয়েক বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিয়ানমার মাত্র চারটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মধ্যে শিশু অধিকারের কনভেনশন (সিআরসি) এবং নারীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের বৈষম্য দূরীকরণের কনভেনশন রয়েছে। এছাড়া দেশটি প্রতিবন্ধীদের অধিকার সম্পর্কিত কনভেনশন এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সংস্কৃতি অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনকেও অনুমোদন দিয়েছে এবং সশস্ত্র সংঘর্ষে শিশুদের যোগদানের বিষয়ে সিআরসি প্রোটোকলে স্বাক্ষর করেছে।

ইউএনএইচআরসির সার্বজনীন পর্যায়ের পর্যালোচনা পদ্ধতির সমর্থক হওয়ার কারণে মিয়ানমার ২০২০ সালে তৃতীয় জাতীয় প্রতিবেদন জমা দেবে।

   

গণগ্রেফতারেও থামছে না মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গণগ্রেফতারের পরও দমন করা যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী এই আন্দোলন। বরং দিন যত যাচ্ছে, বিক্ষোভ তত ছড়িয়ে পড়ছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিক্ষোভে উত্তাল আটলান্টার এমরি ইউনিভার্সিটিতে পুলিশ গণগ্রেফতার চালিয়েছে। বিক্ষোভের কারণে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি স্নাতক অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।

এমরি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, কলেজের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার ভোরে ক্যাম্পাসের মাঠে প্রবেশ করে। তারা চলে যেতে অস্বীকার করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে রাসায়নিক স্প্রে ব্যবহার করে।

সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, শহরের এমারসন কলেজ থেকে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে প্রায় ১০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ৯৩ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরে সেখান থেকে ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কলাম্বিয়া, ইয়েল ও নিউইয়র্ক ইউনির্ভাসিটিতে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক ধরপাকড়ের পর নতুন করে এসব গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে।

ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যালামনাই পার্কে বিক্ষোভ করতে বুধবার (২৪ এপ্রিল) জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের বাধা দেয় দাঙ্গা পুলিশ। পুলিশের হেলিকপ্টার থেকে ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ১০ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হয়। এরপরও ঘটনাস্থলে থেকে যাওয়া শিক্ষার্থীদের অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।

জানা গেছে, ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভ প্রথমে শান্তিপূর্ণ ছিল। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এক নারীকে আটক করতে গেলে পানির বোতল ছুড়ে মারেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা স্লোগান দিতে থাকেন—‘তাকে ছেড়ে দিন।’ এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘিরে ‘ফিলিস্তিনের মুক্তি চাই’ বলেও স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে এক হাজার ২০০ জন নিহত হন। এর জেরে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় গাজা উপত্যকায় ৩৪ হাজার ৩০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে সেখানে।

;

যুদ্ধবিধ্বস্ত হাইতির ক্ষমতায় ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাইতির প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে নতুন অস্থায়ী সরকার শপথ গ্রহণ করেছে।

বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতি প্রাসাদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

বিদায়ী মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষায় অর্থনীতিমন্ত্রী মিশেল প্যাট্রিক বোইসভার্টকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইতিররাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের জাতীয় প্রাসাদে নয়জনের ‘অন্তবর্তীকালীন পরিষদ’ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হয়। সহিংসতা এড়াতে গোপনে শপথ নেন অন্তবর্তীকালীন পরিষদের সদস্যরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি বলেন, তার প্রশাসন কঠিন সময়ে জাতির সেবা করেছে। চিঠিটিতে বুধবারের তারিখ উল্লেখ ছিল।

নিউরোসার্জন থেকে রাজনীতিতে আসা হেনরি ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যার পর ক্ষমতায় এসেছিলেন। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে গত কয়েক মাস থেকে হাইতির গ্যাং সদস্যরা কাজ করে আসছিল।

গত মার্চে দেশে হেনরির অনুপস্থিতির সুযোগে হাইতির প্রধান দুই কারাগারে হামলাসহ একের পর এক সহিংসতা চালিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা তৈরি করে গ্যাং সদস্যরা। তারা রাজধানী পোর্ট -অ-প্রিন্সের ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করত।

দেশটির চলমান সংকটের মধ্যে হেনরি গত মাসে ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি পদত্যাগ করছেন।

;

তীব্র তাপে পুড়ছে থাইল্যান্ড, ৩০ জনের মৃত্যু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, সাইথ-ইস্ট এশিয়া, ব্যাংকক, থাইল্যান্ড
তীব্র তাপে পুড়ছে থাইল্যান্ড

তীব্র তাপে পুড়ছে থাইল্যান্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপে পুড়ছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তাপদাহ নিয়ে নতুন সতর্কতা জারি করেছে দেশটির সরকার। এবছর এখন পর্যন্ত দেশটিতে হিটস্ট্রোকে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চলতি মাসে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে আশঙ্কা জানিয়ে বাড়তি সতর্কতার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগি সেলসিয়াস। এবং বৃহস্পতিবারেও একই তাপমাত্রা ছিল। ব্যাংকক শহরকে এই দুই দিন তাপদাহ বড় ধরনের আঘাত করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদফতর।

গত সপ্তাহে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি তাপদাহের ঢেউ। তাপদাহে ফিলিপাইনে ইতোমধ্যে স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ব্যাংককের পরিবেশ বিভাগ জানিয়েছে, তাপ সূচক - আর্দ্রতা, বাতাসের গতি এবং তাপদাহের কারণে ব্যাংককের আবহাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক স্তরে ছিল গত সপ্তাহে। এই সপ্তাহেও তার ধারাবাহিকতা থাকবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

রাজ্যের উত্তর-পূর্বে উদন থানি প্রদেশের কর্তৃপক্ষও বৃহস্পতিবার তাপদাহের বিষয়ে সতর্ক করেছে। সেখানকার গ্রামীণ অঞ্চলগুলো তাপদাহে যেন জ্বলছে।

এর আগে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হিটস্ট্রোকে ৩০ জন মারা গেছেন, অথচ ২০২৩ সালের পুরো সময়ে একই কারণে মারা যান ৩৭ জন।

থাইল্যান্ডের ডিজিজ কন্ট্রোল বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর-জেনারেল ডাইরেক খাম্পেন জানিয়েছেন, বয়স্ক এবং স্থুলতাসহ নক কমিউনিকেবল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ঘরে থাকতে এবং নিয়মিত পানি পান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে বছরের উষ্ণতম সময় সাধারণত এপ্রিল, তবে চলতি বছর এল নিনোর আঘাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।

থাইল্যান্ড চলতি সপ্তাহে তাপদাহ ছিল ভয়ংকর। গত সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ লাম্পাংয়ে ৪৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে, বুধবার তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

;

বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে আমাদের লজ্জা হয়: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে তাকালে এখন তাদের লজ্জা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) করাচিতে সিন্ধু প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসায় ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন শাহবাজ শরিফ।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে বাংলাদেশ অর্থ্যাৎ সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানকে দেশের বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু তারা শিল্পায়নের প্রবৃদ্ধিতে অসাধারণ অগ্রগতি করেছে।

শাহবাজ শরিফ বলেন, আমি তখন খুবই ছোট ছিলাম যখন...আমাদেরকে বলা হতো যে এটা আমাদের কাঁধে একটি বোঝা। আজ আপনারা সবাই জানেন, সেই ‘বোঝা কোথায় পৌঁছেছে (অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে)। এবং এখন আমরা যখন তাদের দিকে তাকাই, তখন আমরা লজ্জা বোধ করি।

বর্তমানে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক খাতের প্রায় সব সূচকে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে।

;