আসরের দ্রুততম ফিফটি ফ্রেজার-ম্যাগার্কের, তবুও বড় হার দিল্লির 

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-04-21 10:20:37

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ১২৫ রান! রেকর্ড বই এলোমেলো করে স্বীকৃত যেকোনো টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লের সর্বোচ্চ সংগ্রহের বিশ্বরেকর্ড গড়ে এদিন যেন দলীয় সংগ্রহ ৩০০-এর পথেই ছুটছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তবে ইনিংস মাঝে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্পিনারদের নৈপুণ্যে শুরুর রান ঝড়ে কিছুটা হলেও কমে। তবুও শেষ পর্যন্তও স্কোরবোর্ডে ২৬৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় 'অরেঞ্জ আর্মি' খ্যাত দলটি। 

জবাব দিতে নেমে দিল্লির শুরুটাও ছিল বিধ্বংসী। ২২ বছর বয়সী তরুণ অজি ব্যাটার জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাগার্কের বিধ্বংসী ইনিংসে চড়ে ৮ ওভারেই ১৩১ রান তুলে ফেলে তারা। অর্থাৎ, প্রায় অর্ধেক রান। সেখানে স্রেফ ১৫ বলে ফিফটি হাঁকান ফ্রেজার-ম্যাগার্ক। যা চলমান আসরে সবচেয়ে দ্রুততম। ১৮ বলেই এই ডানহাতি ব্যাটার করেন ৬৫ রান। তবে তার ফেরার পর দিল্লিও যেন ফিরে গেল জয়ের পথ থেকে। ৩ উইকেটে ১৩১ থেকে ১৯৯ রানেই অলআউট! শুরুতে অবিশ্বাস্য কিছু করার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত ৬৭ রানের বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় দিল্লিকে। 

২৭৭ রানের পর ২৮৭। নিজেদের রেকর্ড চলতি আসরেই ভাঙে হায়দরাবাদ। এবারও চলেছিল আরও একবার সেই রেকর্ড ভাঙার পথেই। ৬ ওভার ১ বলে ১৩১ রান! সেখানে স্রেফ ২৬ বলে ৮৪ রান ব্যাট করছিলেন ট্রাভিস হেড এবং আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা তো আরও বিধ্বংসী রুপে। ১১ বলে ৪৬ রানে! তবে পরের বলেই ফেরেন অভিষেক। রান ঝড়ের গতি কমার শুরু সেখানেই। সেখান থেকে ১৯ বলের মধ্যে দলীয় সংগ্রহ ১৫৪ রানে পৌঁছাতেই সাজঘরে আরও তিন ব্যাটার। 

অবশ্য রানের ছন্দ হারিয়ে যায়নি পুরোটাই। শেষ দিকে শাহবাজ আহমেদের ৫৯ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসে চড়ে ৭ উইকেটে ২৬৬ রানের সংগ্রহ পায় হায়দরাবাদ। 

এদিকে ঘরের মাঠে বিশাল এই রান তাড়ায় জিততে হলে রেকর্ডই করতে হতো দিল্লিকে। সর্বোচ্চ রান তাড়ায় রেকর্ড ২২৪ রানের। এবং দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৬২ রানের সংগ্রহ বেঙ্গালুরুর, এই হায়দরাবাদের বিপক্ষেই। সে ম্যাচেও ২৫ রানে হারতে হয় বেঙ্গালুরুকে। সব ছাপিয়ে জিততে হতো দিল্লিকে। সেখানে শুরুতেই দুই ওভারে দুই ওপেনার পৃথ্বী শ ও ডেভিড ওয়ার্নার ফিরলেও ফ্রেজার-ম্যাগার্কের তাণ্ডবে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল স্বাগতিকরা। তবে সপ্তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১০৯ রানের মাথায় ফেরেন এই অজি ব্যাটার। ১৭ বলে ৬৫ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে তিনি মারেন ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা। 

ফ্রেজার-ম্যাগার্কের ফেরার পর আর কেউই ধরতে পারেননি ম্যাচের হাল। ১৯ ওভার ১ বলে দুইশ পেরোনোর আগেই (১৯৯ রানে) গুটিয়ে যায় রিশাভ পান্তের দল। সেখানে দিল্লির হয়ে নটরজন নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। 

এই জয়ে কলকাতা-চেন্নাইকে পেছেন ফেলে তালিকার দুইয়ে উঠে এলো হায়দরাবাদ। ৭ ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে তারা। এদিকে ৮ ম্যাচের ৫টিতেই হেরে তালিকার সাতে নেমে গেছে দিল্লি। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর