‘মিরাকল’-এর অপেক্ষায় রাখলেন মিরাজ-তাইজুল

ক্রিকেট, খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪ | 2024-04-02 17:36:38

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং দেখে অনেকেই হয়ত ভাবেননি পঞ্চম দিনে গড়াবে চট্টগ্রাম টেস্ট। তবে সেটা হয়েছে। চতুর্থ দিনে দুই সেশনের বেশি ব্যাট করে বাংলাদেশ তা সম্ভব করেছে। কে জানে, টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দশার দিনে বাংলাদেশ দল এটাকেও সাফল্য হিসেবে দেখে কীনা। তবে বড় হারের শঙ্কা যখন মাথার উপর ঝুলছে, তখন এমন সাফল্য হাতড়ে লাভ কী!

৪৫৫ রানের লিড সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে লঙ্কানরা। সে লিডের সঙ্গে আর ৫৫ রান যোগ করে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সফরকারীরা। তাদের লিড দাঁড়ায় ৫১০ রান। লঙ্কানদের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৬ রান আসে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ব্যাটে।

ইনিংসে ৬৫ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন পেসার হাসান মাহমুদ। প্রথম ইনিংসের দুই উইকেট যোগ করলে যৌথভাবে টেস্ট অভিষেকে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়া হয়ে যায় তার। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়েতে মনজুরুল ইসলাম প্রথম অভিষেকে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট।

৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩৭ রান। কিন্তু দিনের দ্বিতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে স্টাম্প গুঁড়িয়ে যায় জয়ের (২৪)। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়ে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা জাকির। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও তিনিও সেই ব্যর্থদের দলেই নাম লেখালেন। উইকেটে থিতু হয়েও বিশ্ব ফার্নান্দোর বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। ১৯ রানে ধরেছেন সাজঘরের পথ।

অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২০) আরও একবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫৫ বল খেলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ক্রিজে টিকে থাকার, কিন্তু লাহিরু কুমারার দারুণ এক ডেলিভারিতে সাঙ্গ হয় তার ইনিংস।

চারে নেমে প্রতি আক্রমণ শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক। ৫৫ বলে ৮ চার, ১ ছক্কায় ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। তবে মাইলফলক ছোঁয়ার পড়ের বলেই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন এই ব্যাটার।

পঞ্চম উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ে তোলেন সাকিব আল হাসান এবং লিটন দাস। শুরুতে কিছুটা দেখেশুনে খেললেও খণ্ডকালীন বোলার কামিন্দু মেন্ডিসের গালিতে দাঁড়ানো নিশান মাদুশকার হাতে ধরা পড়েন সাকিব। ফেরার আগে তার ব্যাটে আসে ৩২ রান।

সাকিব ফেরার পরপরই লিটনও ধরেন সাজঘরের পথ। সিরিজজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হওয়া এই উইকেটকিপার-ব্যাটার করেন ৩৮ রান। অবশ্য ব্যক্তিগত ১০ রানেই নিশ্চিত এলবিডাব্লিউ থেকে বেঁচে যান। লঙ্কানরা রিভিউ না নেয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন।

শেষবেলায় ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ভেলা ভাসিয়ে রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ১০ রান নিয়ে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন তাইজুল ইসলাম। ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য এখনো ২৪৩ রান চাই স্বাগতিকদের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর