শক্তিমত্তায় মিয়ানমার বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। তবে এশিয়ান গেমসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠের লড়াইয়ে সেটা বুঝতে দেয়নি দল। একটু এদিক ওদিক হলে জয়টা পেতে পারত বাংলাদেশও। তবে সুযোগ নষ্টের পর নিজেদের জালে বল জড়িয়ে শেষমেশ হেরেই বসেছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দল। ১-০ গোলের এই হারের পর এশিয়ান গেমসের দ্বিতীয় রাউন্ডের রাস্তাটা অনেকটাই রুদ্ধ হয়ে গেল দলের।
হাংজুর জিয়া ওশান স্পোর্টস সেন্টারে মিয়ানমারের বিপক্ষে বাংলাদেশের কৌশল ছিল আগে রক্ষণ সামলানোর, এরপর প্রতি আক্রমণের সুযোগ যদি কাজে লাগানো যায়। শুরুর অর্ধের সবচেয়ে বড় সুযোগটা পেয়েছে বাংলাদেশ। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের শটটা বেরিয়ে যায় একেবারে বার ঘেঁষে। মিয়ানমারও এ অর্ধে চেষ্টা করেছে। তবে মিতুল মারমার দেয়াল টপকে তাদের আর গোল পাওয়া হয়নি।
বিরতির পর ম্যাচে সুযোগ বেশি তৈরি করেছে বাংলাদেশই। তবে মিয়ানমার রক্ষা পায় গোলরক্ষকের কল্যাণে। ৬১ মিনিটে রবিউল হাসানের ফ্রি কিক ঠেকান তিনি।
বাংলাদেশ এরপর গোল হজম করে নিজেদের ভুলে। ৬৭ মিনিটে আত্মঘাতী গোল হজম করে বসে দল। ক্রস থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন ডিফেন্ডার মুরাদ হাসান।
বাংলাদেশ এরপরও ম্যাচে ফিরতে পারত। ৭৫ মিনিটে মিয়ানমার দশ জনের দলে পরিণত হয় যে! বক্সের একটু বাইরে বাংলাদেশ দারুণ এক সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল। সেখানে ফাউল করে দলকে গোল হজমের হাত থেকে রক্ষা করেন মিয়ানমার ডিফেন্ডার, তবে নিজে দেখেন লাল কার্ড। সেখানে পাওয়া ফ্রি কিকেও গোল আসেনি ওই মিয়ানমার গোলরক্ষকের কারণে।
ভাগ্যও এদিন পথ আগলে দাঁড়িয়েছিল দলের। ফরোয়ার্ড সুমন রেজার একটা শট ফিরে আসে বারপোস্টে লেগে। ফলে ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দলকে।