বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যেসব মদ-জুয়ার হাউস বন্ধ করেছিলেন, সেগুলো আবার জিয়াউর রহমান চালু করেন বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, ‘মদ-জুয়া হাউসিং এবং উদাম নৃত্য জিয়াউর রহমানই আবার চালু করেছিলেন। তার ধারাবাহিকতায় যখন খালেদা জিয়া ৯১ সালে ক্ষমতায় আসেন, তখন কিন্তু এই ক্যাসিনো কালচার আবার ষোলকলায় পূর্ণ হয়।’
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বর্তমান সরকারকে ‘জুয়াড়ি’ বলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে আয়নায় চেহারা দেখার পরামর্শ দিয়েছেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা এবং মোসাদ্দেক হোসেন ফালু বিভিন্ন ক্লাবের ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তারাই আবার শুরু করেছেন। ক্যাসিনো দেশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে, হঠাৎ করে হয়নি এগুলো।’
চলমান অভিযানে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এগুলোকে উৎপাটনের জন্য প্রধানমন্ত্রী সমূলে অভিযান শুরু করেছেন। সেখানে কে কোন মতের, কে কোন পথের সেটি দেখা হচ্ছে না। আমি মনে করি, এ জন্য বিএনপি মহাসচিবের সরকারকে সাধুবাদ জানানো দরকার।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তোমাদের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উনি তো বড় অজগর সাপ। যেটা সব গিলে খেয়ে ফেলে। তার নেতৃত্বেইতো হাওয়া ভবন খোলা হয়েছিল। এবং হাওয়া ভবন খুলে সেখানে দশ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য করা হতো। খোয়াব ভবন খুলে আমোদ ফূর্তি করা হতো। সুতরাং বিএনপির এটি নিয়ে কথা বলারই তো নৈতিক অধিকার নেই। যারা দেশটাকে পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল।’
ব্রিফিংয়ের পর প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপ-কমিটির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব মুহাম্মদ আশরাফ সিদ্দিকী বিটু, রাশেক রহমান, ইঞ্জিনিয়ার তন্ময় আহমেদ মুনসহ আরও অনেকে।