দলীয় নেতাকর্মীদের সুবিধা দিতে সরকারের চাল আমদানি: মির্জা ফখরুল

বিএনপি, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 20:56:19

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুবিধা দিতেই সরকার চাল আমদানি করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, 'কৃষকদের যে দুরবস্থা, তা সরকারের ভুল নীতির প্রতিফলন। সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী দেশ খাদ্যে বিশেষ করে চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চাল উৎপাদনের পরিমাণ তিন কোটি ৬২ লাখ টন। অথচ এই সময়ে সরকারি ও বেসরকারিভাবে চাল আমদানির পরিমাণ ৬৯ লাখ মেট্রিক টন।’

শনিবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল সিপিডির এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, '২০১৬ সালে সিপিডির অর্থপাচার শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১৩-১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে যত চাল বিদেশ থেকে আনা হয়েছে, তাতে আমদানি মূল্য ছিল টন প্রতি ৮০০ থেকে এক হাজার ডলার। অথচ ঐ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের মূল্য ছিল টন প্রতি ৫০০ ডলার। এই বাড়তি টাকা দেশ থেকে ওভার ইনভয়েজের মাধ্যমে পাচার হয়েছে বলে ঐ প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'সরকারের অংশীদার একটি দলের প্রধান, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেননও চাল আমদানিতে সরকারের দুর্নীতির কথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়াও সরকারি দলের সাংসদ রমেশ চন্দ্র সেনও এহেন পরিস্থিতির জন্য এ সরকারের সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দায়ী করেছেন।'

তিনি বলেন, 'সরকারী ধান/চাল সংগ্রহের মূল দুটি হলো- কৃষককে মূল্য সহায়তা (প্রাইজ সাপোর্ট) দেওয়া ও সরকারি মওজুদ ব্যবস্থপনা (পাবলিক স্টক ম্যানেজমেন্ট)। এই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে হলে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান চাল সংগ্রহ করতে হবে। এতে কিছুটা হলেও কৃষক লাভবান হবে। কিন্তু সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে না কিনে কিনছে চালকল মালিকদের কাছ থেকে। অর্থাৎ মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছ থেকে। এতে লাভবান হচ্ছে চালকল মালিকরা। আর সর্বশান্ত হয়ে মনের দুঃখে কৃষক তার ধান ক্ষেতেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলছে।'

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম প্রমুখ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর