নোয়াখালী জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টকে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইতে নিষেধ করেছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে নোয়াখালীর মাইজদীতে দোকানপাট ও গাড়ি ভাঙচুর করেছেন ভট্টর সমর্থকরা। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (১২ মে) বিকেলে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টের সমর্থকরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ সময় শর্টগানের বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে দলের জেলা কার্যালয়ে একটি বৈঠক চলছিল। আসন্ন নোয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। এতে সদর উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক একেএম সামছুদ্দিন জেহানকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা আলোচনা হয়। এ সময় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ইমন ভট্টকে মনোনয়ন চাইতে নিষেধ করেন সংসদ সদস্য। এরপরই ইমন ভট্টের সমর্থকরা বাইরের প্রধান সড়কের দোকানপাট ও গাড়িতে ভাঙচুর করেন। এ সময় তার সমর্থকরা যাত্রীবাহী ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে থাকা অন্তত ৫০টি গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী লাঠি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় বের হয়ে যুবলীগ কর্মীদের ধাওয়া করেন।
এ ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পাঁচ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তবে এতে কেউ আহত হয়েছেন কি না তা তিনি জানেন না।