বিরোধী দলের আন্দোলনে সহিংসতা থাকলে বাধা আসবেই: কাদের

আওয়ামী লীগ, রাজনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-02-20 14:13:31

বিরোধী দলের আন্দোলনে সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস যদি যুক্ত হয়, তাহলে বাধা আসবেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বিরোধী দলের আন্দোলনে কোনো রকম বাধা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে না। এখন নির্বাচন শেষ, সে ক্ষেত্রে কি কোনো বাধা দেওয়া হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাধা দেওয়ার মতো সহিংস তৎপরতা, সন্ত্রাস এসব উপাদান যদি আন্দোলনে যুক্ত হয়, তাহলে বাধা আসবেই। তারা যদি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়ে এগিয়ে যায়, সেখানে আমরা বাধা দেবো কেন!

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আন্দোলন' শব্দটা বিরোধী দলের ভাষা। বাস্তবে আন্দোলন না হলেও মুখে তাদের বলতে হবে। নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হয় আর পাবলিককেও বোঝাতে হয়, সমমনাদের বোঝাতে হয় যে, আমরা আছি।

দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কমিটি করার বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের পার্টির ওয়ার্কিং কমিটির যে মিটিং অতি সম্প্রতি হয়েছে, সাংগঠনিক বিষয়ে সেখানে আমাদের সভাপতির একটা নির্দেশনা আছে। সেটা হচ্ছে, দলের সাংগঠনিক শৃঙ্খলা, কোথাও কোথাও অন্তর কলহ, কোথা কোথাও মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি, কোথাও কোথাও অভ্যন্তরীণ কিছু সংকট এসব বিষয়ে আমাদের আটটি ডিভিশনে গঠিত কমিটি আছে। সে কমিটিগুলো পর্যায়ক্রমে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে আমাদের পার্টির প্রয়োজনে আমাদের সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদেরও ডেকে আনা হবে। এসব বিষয়ে সমাধানের জন্য আমরা বৈঠক করবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত। খুব শিগগিরই হয়ত আমরা শুরু করছি।

তিনি বলেন, ৫৪টা দল নিয়ে তারা (বিএনপি) সরকারবিরোধী ঐক্যজোট করেছে। এর মধ্যে সমমনাও আছে। এই ঐক্যজোটের শরিকরা এখন কোথায়! বিএনপি নেতাদের কাছে আমি জানতে চাই, সে ঐক্য এখন কোথায়! এখন সরকারের ঘাড়ে দোষ দিয়ে কি পার পাওয়া যাবে!

সরকার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের নির্বাচন করার জন্য কারাগারে নিয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মোটেও না। ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় তাদের কারাগারে নেওয়া হয়েছে। পুলিশ হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর হামলা, জাজেস কমপ্লেক্সে হামলা, পুলিশের হাসপাতালে হামলা এসব অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছিল। বিএনপি বলেছিল, আমরা নাকি পালিয়ে যাবো! তাহলে তারা পালিয়ে গেল কেন! পালিয়ে গেল মানে তারা কোনো অপরাধ করেছে; অন্যথায় তো তারা পালায়নি। সেদিন কিছু অপরাধ তারা করেছে। সে জন্য তাদের পালাতে হয়েছে। পালানো অবস্থায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারপর বিষয়টা বিচারাধীন বিষয়, আদালতের বিষয়। আদালত যখন জামিন দিয়েছেন তখন তারা মুক্ত হয়েছেন।

ছাত্রলীগের বার বার সংঘর্ষ ও অপকর্ম রোধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এসব ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে যত কঠোর হওয়া দরকার আমরা হবো।

এমআরটি ট্রেন লাইন ৬টি থেকে বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রেন তো হবে ছয়টা। দুইটা 'অলরেডি আন্ডার কন্সট্রাকশনে' আছে। এমআরটি লাইন ৫ ও এমআরটি লাইন ১, যেটা হলো সেটা এমআরটি লাইন ৬ ব্যবহারে যদি কোনো ত্রুটি বা সমস্যা দেখা দেয়,তখন সেটা অবশ্যই বানানোর পথ আছে। সেটা অবশ্যই আমাদের চিন্তাভাবনায় আছে, সংকটমুক্ত বা ত্রুটিমুক্ত কীভাবে হবে!

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর