সংবর্ধনায় ভাসলেন বিশ্বজয়ী রাকিবুল

ময়মনসিংহ, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ | 2023-08-28 12:01:47

ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ ছিনিয়ে এনেছে বাংলার জুনিয়র টাইগাররা। আর এ শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান। ফাইনালে জয়সূচক রানটাও আসে তার ব্যাট থেকে।

তার এমন অর্জনে স্বভাবতই গর্বিত ও উচ্ছ্বসিত তার জন্মস্থান ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের মানুষসহ গোটা জেলাবাসী। দেশে আসার পর নিজ উপজেলার মানুষজন অপেক্ষায় ছিলেন তাকে বুকে টেনে নেওয়ার জন্য, বীরোচিত সংবর্ধনা জানাবার জন্য।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সেই অপেক্ষার অবসান ঘটালেন রাকিবুল। গাড়িবহর নিয়ে দুপুর আড়াইটায় নিজ উপজেলা ফুলপুরে পৌঁছালে তাকে ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণ করে নেন সর্বস্তরের মানুষ।

সংবর্ধনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাকিবুলকে

পরে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে তাকে উষ্ণ সংবর্ধনা দেওয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসনসহ আপামর জনগণ রাকিবুলকে সেখানে ফুল ছিটিয়ে বরণ করে নেন। এসময় তাকে একনজর দেখার জন্য উপজেলা পরিষদে ঢল নামে হাজারো মানুষের।

এসময় রাকিবুল হাসান বলেন, ‘আপনাদের দোয়া ও সমর্থনের কারণে দেশের জন্য কিছু করতে পেরেছি। আমার জন্য সবসময় দোয়া করবেন। আমি যেন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারি এবং দেশের জন্য এভাবে আবারও কিছু করতে পারি। আমি বহুদূর এগিয়ে যেতে চাই।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, পৌর মেয়র মো. আমিনুল হক, ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান স্বপন, রাকিবুল হাসানের বাবা শহিদুল ইসলামসহ স্বজনরা।

এরপর বিকেলে রাকিবুলকে তার নিজগ্রাম রূপসী ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে নেওয়া হয়। সেখানেও এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সংগঠনের ফুলেল সংবর্ধনায় সিক্ত হন তিনি।

রাকিবুলকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়

স্থানীয়রা বলেন, ‘ঘরের ছেলেকে এভাবে বরণ করে নিতে পেরে আমাদেরও খুব আনন্দ লাগছে। সে আমাদের এলাকার ছেলে হয়ে দেশের জন্য এত বড় উপহার নিয়ে এসেছে। এর চেয়ে গর্বের আর কি হতে পারে।’

দুই ভাই আর এক বোনের মধ্যে রাকিবুল দ্বিতীয়। বাবা শহীদুল ইসলাম একজন সংগ্রামী মানুষ, পেশায় মাইক্রোবাস চালক। মা রোমেলা বেগম একজন গৃহিণী। তাদের বাড়ি ফুলপুরে হলেও ৪০ বছর ধরে সপরিবারে থাকেন ঢাকার খিলগাঁও এলাকায়।

রাকিবুলের বাবা শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইচ্ছা ছিল রাকিবুল বড় হয়ে বিসিএস ক্যাডার হবে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার চেয়ে ক্রিকেটে বেশি মনোযোগী ছিল সে। একবার কোচিং সেন্টারে ভর্তি হওয়ার টাকা নিয়ে ভর্তি হয়ে যায় ক্রিকেট একাডেমিতে। তখন মন খারাপ হলেও ছোট মানুষ বলে রাগ করিনি। তবে এখন তার কৃতিত্বে বাবা হিসেবে গর্বে বুকটা ভরে যায়। দেশের জন্য আরও বেশি বেশি সাফল্য নিয়ে আসুক এটাই আমার প্রত্যাশা।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর