কলেজটির ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে তো?

, জাতীয়

কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 16:57:05

নড়াইল: নড়াইলের কালিয়ার ‘পিরোলী হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক’ কলেজের দ্বিতল ভবনের নির্মাণ কাজ কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না। যদিও নির্মাণ কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও গত তিন বছরে তা শেষ হয়নি। শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঠিকাদার ও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে এ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ‘পিরোলী হাবিবুল আলম বীরপ্রতীক’ কলেজটির শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ ও পাঠদানের স্থান সংকুলানের জন্য ২০১৫ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে কলেজটিতে একটি দ্বিতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। টেন্ডার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নূর কনস্ট্রাকশন নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি কার্যাদেশ দেয়া হয়। এরপর ওই বছরের ৩১ মার্চ তারা ভবনটির নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কাজ শুরুর দিন থেকে ১৮ মাসের মধ্যে তা শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু গত তিন বছরে ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি।

কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতারা খানম বলেন,‘দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কলেজের ওই ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলেও কবে শেষ হবে তা আমরা জানি না। দ্রুত ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।’

রফিকুল ইসলাম নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের শ্রেণিকক্ষের সংকটের কারণে ঠিকমতো পড়াশুনা করতে পারিনা। ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের এ সমস্যা থাকত না।’

কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ইমরানুল হক মিশা মোল্যা অভিযোগ করে বলেন,‘সরকারি নিয়মনীতির বালাই না করে ঠিকাদার ভবনটির নির্মাণ কাজ বছরের পর বছর ফেলে রাখার কারণে কলেজটিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ঠিকাদারের গাফিলতি এবং উদাসীনতার কারণে গত তিন বছরেও ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।’

কলেজের অধ্যক্ষ আবুরেজা মোল্যা বলেন, ‘ভবন নির্মাণের প্রকৃত ঠিকাদার কে তা জানি না। তবে কামরুল ইসলাম নামে একজন নিজেকে ঠিকাদার পরিচয় দিয়ে মাঝে মধ্যে এসে থাকেন। নির্মাণ কাজ শেষ করতে তাকে বহুবার তাগিদ দেয়া হয়েছে। এমনকি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ জোনের নির্বাহী প্রকৌশলীকেও ফোনে বহু বার কলেজের দুরবস্থার কথা জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বর্তমানে ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস রুমের অভাবে পাঠদানের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।’

নূর কনস্ট্রাকশনের মালিক নূর মহম্মদের জানান, প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কাজটি বরাদ্দ থাকলেও কামরুল ইসলাম কাজটি করছেন। ভবনটির নির্মাণ কাজ যথাসময়ে শেষ না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

গোপালগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক আনোয়ার জাহিদী বলেন, ‘ভবন নির্মাণে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে ঠিকাদারকে চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর