ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া স্কুলশিক্ষকসহ ৩ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহবুবা আক্তার মামলার শুনানি শেষে এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসারকে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলায় গ্রেফতার ৩ আসামিকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করা হয়। মামলার শুনানি শেষে মামলার আসামি কায়েস আল কায়কোবাদ লাজুকে ৫ দিন ও শামসুজ্জামাস বাপ্পী, তৌহিদা আক্তার রুমা এই দুজনকে ৩ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন- নারী শিক্ষা অফিসারকে কটূক্তি, গ্রেফতার ৩
জানা গেছে, লাজুক উপজেলার ধরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। সম্প্রতি তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীনের কাছে চারজন শিক্ষকের বদলির সুপারিশ করেন। কিন্তু শিক্ষা অফিসার এতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষুব্ধ হয়ে লাজুক ও তার সহযোগীরা তার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য প্রচার করেন। এ ঘটনায় শিক্ষা অফিসার বাদী হয়ে গত সোমবার গৌরীপুর থানায় ডিজিটাল নিরপত্তা আইনে লাজুক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে সোমবার রাতে পুলিশ পৌর শহরের বালুয়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে লাজুক এবং তার সহযোগী শামসুজ্জামান বাপ্পী ও তৌহিদা আক্তার রুমাকে গ্রেফতার করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরদিকে জেলা শিক্ষা অফিসার শফিউল হক বলেন গৌরীপুর উপজেলার শিক্ষা অফিসারকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুই মামলায় সহকারী শিক কায়েস আল কায়কোবাদ লাজুককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।