রেল সেক্টরে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার দীর্ঘ ৩০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন করেছে। ফলে ক্রমান্বয়ে রেলের উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে নলেজ এক্সচেঞ্জ সেমিনারে 'ডেডিকেটেড ফ্রেইট করিডর ফর বাংলাদেশ রেলওয়ে' শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, 'রেলের যেসব মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে সেগুলোর কাজ চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক, রামু হয়ে কক্সবাজারের দোহাজারী নির্মাণ, মিয়ানমার সীমান্ত রেললাইন, খুলনা-মংলা বন্দরের রেললাইন, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প।
রেলমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার ৮৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার রেল যোগাযোগ স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশে আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সুবিধা তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে নেপাল, ভুটান ও ভারতের একটি অংশ বিশেষ করে দক্ষিণ পূর্ব ভারতের পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
করিডর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, 'যেসব করিডর দিয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল সেগুলো পুনরায় চালু করা হবে। আপনারা জানেন ভারতের সঙ্গে আমাদের অনেকগুলো করিডর আছে। আগামী ২১ তারিখ আরো একটি বন্ধ করিডর চালু করা হবে চিলাহাটিতে। এসব করিডর চালু হওয়ার ফলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।'
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড.গওহর রিজভী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী রেল সেক্টরকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। যোগাযোগ সেক্টরে দিনে দিনে অনেক উন্নতি করছে বাংলাদেশ।'
নলেজ এক্সচেঞ্জ সেমিনারে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোফাজ্জল হোসেন, রেলের মহাপরিচালক মো.শামসুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।