রমেকে বিড়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীরা!

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-31 17:31:31

রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে বিড়ালের উৎপাতে অতিষ্ঠ রোগীরা। গৃহপালিত এই প্রাণির বসবাসের নিরাপদ স্থান যেন এই হাসপাতালটি।

আঞ্জুমান আরা নামে একজন অভিযোগ করে জানান, এক সপ্তাহ ধরে অসুস্থ ছোট ভাইকে নিয়ে হাসপাতালে আছেন তিনি। মেডিসিন বিভাগে বেড না পাওয়ায় মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। দিনের বেলা হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে বিড়ালের অবাধ বিচরণ লক্ষ করা যায়। রাতে রোগীর বিছানাতেই থাকছে এসব বিড়াল। তবে দিনে সমস্যা না হলেও রাতে বিড়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগী ও স্বজরা। এদিকে বিড়ালের উপদ্রব ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রমেকে বিড়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীরা!

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন নাজমুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হতে আসেন। কিন্তু এই হাসপাতালে বিড়ালের উৎপাতে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে হাসপাতালের কর্মচারী, নার্স ও আয়াদের বেশ উদাসীন মনে হয়েছে।'

রমেকে বিড়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীরা!

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছয়তলা বিশিষ্ট রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০টি বিভাগ রয়েছে। প্রতি বিভাগে গড়ে ২-৫টি করে বিড়ালের দেখা মেলে। এসব বিড়াল দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে থাকছে। তবে বিড়ালের উপদ্রব কমানোর জন্য কোনো উদ্যোগ ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। ফলে বিড়ালের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। এতে রোগীদের অস্বস্তির পাশাপাশি হাসপাতালের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে।

হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার হৃদরোগ বিভাগের পুরুষ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত শহিদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'বিড়াল শুধু রোগীদের যন্ত্রণা বাড়ায়নি, আমাদেরও অশান্তিতে রেখেছে। প্রতিদিন মলমূত্র ত্যাগ করায় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হচ্ছে। তবে আমরা বিড়ালের উপদ্রব কমানোর চেষ্টা করছি।'

রমেকে বিড়ালের উপদ্রবে অতিষ্ঠ রোগীরা!

এ বিষয়ে জানতে রমেক হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সুলতান আহামেদের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, রংপুর বিভাগের আট জেলার প্রায় দুই কোটি মানুষের চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান এই রমেক হাসপাতাল। প্রতিবছর গড়ে চার লাখের বেশি মানুষ এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। আর প্রতিদিন গড়ে প্রতি বিভাগে রোগী ভর্তি থাকেন প্রায় এক হাজার। দিনে দুই থেকে তিন শতাধিক রোগী জরুরি সেবা গ্রহণ করেন। ১৯৬৮ সালে হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর