৯ ঘণ্টায় ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি!

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-28 15:38:27

ঢাকা রংপুর মহাসড়ক থেকেঃ সকাল সাড়ে ১০ টায় যখন জ্যামের শুরু হয় তখন বাস ছিল দেলদুয়ারের ডুবাইলে। বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে যার দূরত্ব মাত্র ৪১ কিলোমিটার।

৯ ঘণ্টা পর এখন টাঙ্গাইল শহরের কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। যা বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। গড়ে ২ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে হানিফের ভলবো বাসটি। শুধু হানিফ নয় সব যানবাহনেরই একই অবস্থা।


দিনের বেলা এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা নজিরবিহীন। অতীতে দিনে থেমে থেমে গাড়ি চলেছে, নজরদারির ঘাটতি থাকায় রাতের বেলা এমন দীর্ঘ সময় ধরে জট লক্ষণীয় ছিল। কিন্তু এবার অবাক করে দিয়ে জট চিরাচরিত ব্যাকরণকেও হার মানিয়েছে। এই বাসের যাত্রীদের বাস পেতেই ১০ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। সকালে ছেড়ে এসে এখন ত্রাহী অবস্থা।
 
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় বন্ধ, ৮০ কিলোমিটারে যানজট
 
এখন রাস্তায় এসেও দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না তাদের। তবে দুপুরে খরতাম মিলিয়ে সন্ধ্যা নেমে আসায় তাপদাহ কমে যাওয়ায় কিছুটা স্বস্তি নেমেছে যাত্রীদের মধ্যে। বিশেষ করে খোলা ট্রাক পিকআপের যাত্রীদের। তারা কেমন আছেন সে প্রশ্ন এখানে বাহুল্যতা। সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় রয়েছে নারী ও শিশুরা। না আছে খাবারের ব্যবস্থা, না আছে টয়লেটে যাওয়ার কোনো সুযোগ। ট্রাকে যাত্রীদের অনেককে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা গেছে।


৬ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। প্রায় ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও এক তৃতীয়াংশ পথও পাড়ি দেওয়া হয়নি। কখন গন্তব্যে পৌঁছাবে সে কথা কেউ বলতে পারছেন না।


কিন্তু অবাক করার বিষয় হচ্ছে ঢাকা থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি চলনসই বলতে হয়। ধীরগতি লক্ষণীয় হলেও দেলদুয়ারের মতো আটকে থাকতে হয়নি। তবে এক সময় এ এলাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
 
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ঘাটে বেড়েই চলেছে ছোট গাড়ির সারি
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ঠাঁয় দাঁড়ানো সেতুমুখী যানবাহন
আরও পড়ুন: ১০ ঘণ্টা দেরিতে যথাসময়ে ছাড়লো বাস!

এ সম্পর্কিত আরও খবর