রামেকে চিকিৎসাধীন ২৭ ডেঙ্গু রোগী, আইসিইউতে পুলিশ সদস্য

রাজশাহী, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী | 2023-09-01 00:53:30

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত রামেকে ৪২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১৫ জন রোগী। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৭ জন ডেঙ্গুরোগী।

এর মধ্যে আতিক হাসান নামে একজন পুলিশ কনেস্টেবলের অবস্থা গুরুতর। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে। এছাড়া রামেক হাসপাতালের একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তার নাম মনিরুল ইসলাম।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস এসব তথ্য জানিয়েছেন করেছেন। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘চিকিৎসাধীন আতিক হাসান নামে একজন কনস্টেবলের অবস্থা গুরুতর। তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে। রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন একজন চিকিৎসকের অবস্থা বেশ গুরুতর। তাদেরকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন ‘আমরা এ পর্যন্ত ৪২ জন রোগী পেয়েছি। তাদের সবাইকে গুরুত্বসহকারে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেই আমরা ডেঙ্গুরোগীদের জন্য কয়েকটি কেবিন প্রস্তুত রেখেছিলাম। আক্রান্ত রোগীর অধিকাংশই রাজশাহীর বাইরের। ঢাকা থেকেও আক্রান্ত কয়েকজনকে এখানে পাঠানো হয়েছে।’

ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগীদের নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেখভাল করা হচ্ছে। তাদের জন্য বিভিন্ন ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের নিয়ে আমরা কমিটি গঠন করেছি। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’

তবে রোগীদের অভিযোগ, বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকরা মাঝে মাঝে বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠাচ্ছে। ফলে রোগী ও তাদের স্বজনদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় এবং ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাসিন্দা হিয়া আক্তার গত বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) রামেকে ভর্তি হয়েছেন। তার বোন নাফরিন আরেফিন অভিযোগ করেন, ভর্তির হওয়ার পরপরই ডেঙ্গু সনাক্তের জন্য তাদেরকে বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়েছে। সেখানে প্রায় ৩ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করে পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, ‘আমাদের এখানে সিবিসি ও প্লাটিলেট পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে কিট এবং রি-এজেন্ট সরবরাহ না থাকায় এনএসওয়ান পরীক্ষা করানো সম্ভব হচ্ছে। রোগীদের এটি বাইরে থেকে করতে হচ্ছে। কেউ যদি দায়িত্বে অবহেলা এবং সিবিসি পরীক্ষা বাইরে থেকে করতে বলার অভিযোগ করে তবে সত্যতা পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর