যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে থাকলেও জামালপুরে বন্যার পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় ৬২ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক ও রেল পথ, তলিয়ে গেছে ২৫ হাজার ৯০০ হেক্টর ফসলি জমি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার গবাদি পশু।।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৩৯ সেন্টিমিটার কমেছে। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জামালপুর জেলার ৬২ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চাতাল মিল, পুকুরের মাছ ,মুরগীর খামার, গরুর খাবার, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।
জামালপুর-শেরপুর সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, সরিষাবাড়ি, রেল স্টেশন লাইনে পানি উঠায় ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় এক হাজার ১২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যায় ২ লাখ ৫৬ হাজার পরিবারের ১৩ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।
এ দিকে পানি কমলেও শুকনো খাবারের তীব্র অভাবের পাশাপাশি শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি এবং গো খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় ৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে আশ্রয় নিয়েছে ৪২ হাজার ৭৩০ জন বানভাসি মানুষ। মেডিকেল টিম দেওয়া আছে ৮০টি। বন্যার পানিতে ডুবে এখন পর্যন্ত মারা গেছে শিশুসহ ২০ জন মানুষ।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বরাদ্দকৃত ত্রাণের পরিমাণ ৯৫০ মেট্রিক টন চাল ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ১৭ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা।