‌জেল‌গে‌টে ডিআইজি মিজান‌কে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-30 06:14:00

দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজান‌ুর রহমানকে জেল‌গে‌টেই জিজ্ঞাসাবাদ ক‌রে‌ছে দুর্নীতি দমন ক‌মিশন (দুদক)।

‌সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টা থে‌কে দুপুর ১টা পর্যন্ত কেরানীগ‌ঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগা‌রে তা‌কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদ‌কের জনসং‌যোগ কর্মকর্তা উপ-প‌রিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বার্তা‌টো‌য়ে‌ন্টি‌ফোর.কম-কে বিষয়‌টি নিশ্চিত ক‌রে‌ন।

তিনি জানান, ডিআইজি মিজান‌কে জিজ্ঞাসাবা‌দের সময় তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদক প‌রিচালক শেখ মো. ফানা‌ফিল্যার নেতৃ‌ত্বে সঙ্গে ছিলেন সহকারী তদন্ত কর্মকর্তা ও সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন এবং তদারককারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক নিরু শামসুন্নাহার।

এর আগে গত ২ জুলাই ডিআইজি মিজানের আগাম জামিনের আবেদন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ নামঞ্জুর ক‌রেন। আগাম জা‌মিন সরাসরি খারিজ করে দিয়ে তাকে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েস গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। প‌রে গত ৪ জুলাই তার ভাগ্নে পু‌লি‌শের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

জানা যায়, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। মামলার তদন্ত পর্যায়ে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে তৎকালীন অনুসন্ধান কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাক ঘুষ দেওয়ার বিষয়‌টি উঠে আসে গণমাধ্যমে। অভিযোগ উঠার পর এই দুইজনই তাদের নিজেদের সংস্থা থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। আর ঘুষ লেনদেনের বিষয় খতি‌য়ে দেখ‌তে দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যার নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। প্রথমে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী; পরে এই দায়িত্ব পে‌য়ে‌ছি‌লেন বরখাস্ত দুদক পরিচালক এনামুল বাছির। ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় গত ১২ জুন তাকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

অনুসন্ধান শেষে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। মামলায় তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয় ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগ্নের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক

আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

এ সম্পর্কিত আরও খবর