যাত্রী কমে গেছে মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে

ঢাকা, জাতীয়

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-09-01 15:14:49

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চালু হওয়া ঢাকা থেকে কলকাতা যাওয়ার একমাত্র ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। এই ট্রেন চালু হওয়ার পরপর যাত্রীদের বেশ ভিড় ছিল। তবে বর্তমান সময়ে এ ট্রেনে যাত্রী চাপ কিছুটা কমে গেছে। কিছুসংখ্যক সিট খালি রেখেই ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে সপ্তাহে চারদিন ছেড়ে যাচ্ছে মৈত্রী এক্সপ্রেস।

রোববার (১৪ জুলাই) কমলাপুর স্টেশনের মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিট কাউন্টার ঘুরে এ ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে।

কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে মোট বগি আছে আটটি। এর মধ্যে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন যুক্ত বগি আছে চারটি এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার যুক্ত বগি আছে চারটি।

কমলাপুর স্টেশনের মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাউন্টারের মাস্টার সাইফুল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, 'মৈত্রী এক্সপ্রেসের আটটি বগিতে মোট আসন সংখ্যা ৪৫৬টি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি বগিতে কেবিনের আসন সংখ্যা ৩৬টি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার যুক্ত একটি বগির আসন সংখ্যা ৭৮। অর্থাৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন যুক্ত চারটি বগির আসন সংখ্যা ১৪৪টি। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মোট চারটি চেয়ার যুক্ত বগির আসন সংখ্যা ৩১২টি। সব মিলিয়ে ৪৫৬টি আসনের ব্যবস্থা আছে মৈত্রী এক্সপ্রেসে।

কমলাপুর স্টেশন সূত্রে জানা যায়, 'রোববার সকালে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। যেখানে আটটি বগিতে মোট যাত্রী ছিল ৪০৩ জন। যেখানে মোট আসন আছে ৪৫৬ টি অর্থাৎ ৫৩ টি আসন খালি রেখেই কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে এই ট্রেন।

এদিকে সপ্তাহে চার দিনই ১০ থেকে ২০ টি আসন খালি রেখেই চলাচল করে মৈত্রী এক্সপ্রেস বলে জানা গেছে।

কলকাতা যাওয়ার টিকিট কাটতে আসা আরিফ হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'কলকাতার টিকিট পেয়েছি, তবে আমি যে আসনের টিকিট চেয়েছিলাম সেটা পাইনি। কলকাতাগামী টিকিট প্রত্যাশীদের ভিড় না থাকায় দ্রুতই টিকিট পেয়ে গেছি। তবে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের সুবিধার্থে টিকিট কাউন্টার আরও বৃদ্ধি করা উচিত।’

কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, 'ঢাকা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে চারদিন প্রতি শুক্র, শনি, রবি ও বুধবার এবং কলকাতা থেকে ঢাকা আসে প্রতি শুক্র, শনি, সোম ও মঙ্গলবার চলাচল করে। সম্প্রতি টিকিটের দাম বাড়িয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিনের ভাড়া ৩ হাজার ৪৩৫ টাকা এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৪৫৫ টাকা করা হয়েছে।’

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'হয়তো অনেকে আছে যারা ঠিক টাইমে আসতে পারিনি ট্রেন মিস করেছে বা অসুস্থতার কারণে নাও যেতে পারে সেজন্য আজ হয়তো একটু বেশি সিট খালি গেছে। তবে প্রতিদিনতো যাত্রী সমান সমান হয়না। কোনো কোনো দিন ১০ থেকে ২০ টি আসন খালি রেখেই যেয়ে থাকে এই ট্রেন। তবে সামনে কোরবানির ঈদের আগে কলকাতামুখী যাত্রীর চাপ বাড়বে তখন এই ট্রেনে কোনো টিকিট পাওয়া যাবে না।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর