সাবেক স্বামী এস এম পারভেজ সানজারির শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে সংগীতশিল্পী মিলার বিরুদ্ধে মামলা করেন সানজারির বাবা এম নাসির উদ্দিন। রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা ঐ মামলায় মিলা ছাড়াও তার সহকারী পিটার কিমকে আসামি করা হয়েছে। মামলার তিন দিন পরেও গ্রেফতার হননি সংগীতশিল্পী মিলা।
পুলিশ বলছে, এখনো পর্যন্ত অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনার তদন্তে মিলার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। তদন্তে যেকোনো পর্যায়ে মিলার সম্পৃক্ততা পেলে তাকে গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে মামলার বিষয়ে মিলা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পুলিশ মামলার বিষয়ে আমাকে একবার (প্রাথমিক) জিজ্ঞেসাবাদ করেছে। কিন্তু গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ কিছু বলেনি।’
মিলা বলেন, ‘পুলিশ নিজেই আমাকে জানিয়েছে এখনো পর্যন্ত তারা আমার সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ পায়নি। সানজারি কেন বুঝছে না। এ রকম একটা মামলা চলতেছে, এই পরিস্থিতিতে যদি আমি তার ক্ষতি করি, স্বাভাবিকভাবেই তো দোষ আমার উপরে আসবে। আমি এমনটা কেন করব?’
জানতে চাইলে এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থে মিলার সঙ্গেও একবার কথা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত মিলার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি। মিলার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে কণ্ঠশিল্পী মিলার সঙ্গে পারিবারিকভাবে পারভেজ সানজারির বিয়ে হয়। এরপর ঐ বছরই মিলা বাদী হয়ে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক দাবির অভিযোগ করে সানজারির বিরুদ্ধে মামলা করেন। মিলার করা সেই মামলা এখনো চলছে।
পরে ২০১৮ সালের ২২ মে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। অপরদিকে, ফেসবুকে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে মিলার বিরুদ্ধে গত ২১ এপ্রিলে ঢাকার সাইবার ট্র্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন তার সাবেক স্বামী সানজারি। সেই মামালারও তদন্ত চলছে।
এই দুই মামলা চলার মধ্যেই গত ২ জুন রাতে উত্তরার তিন নম্বর সেক্টর এলাকার ৭/বি সড়কে পারভেজের গায়ে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। পরে তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি হন। এসিড নিক্ষেপের এই ঘটনার জন্য মিলাকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে মামলা করে সানজারির পরিবার।