দুই যুগ ধরে নানা হালিমের কদর খুলনায়

খুলনা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা | 2023-09-01 16:43:42

২ যুগেরও বেশি সময় ধরে খুলনার মানুষের কাছে পছন্দের শীর্ষে নানা হালিম। মুখরোচক স্বাদ ও সুখ্যাতির কারণে ইফতারির আয়োজনে এ হালিমের কদর রয়েছে বেশ। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও নানা হালিমের স্বাদ নিতে ভিড় করছেন মুসল্লিরা।

বুধবার (৮ মে) খুলনা নগরীর সাউথ সেন্ট্রাল রোডের পাইওনিয়ার মহিলা কলেজের পাশে গিয়ে দেখা যায়, নানা হালিমের দোকানে ভিড় করে হালিম কিনছেন অনেকে। খুলনা শহর ছাড়াও আশপাশের জেলা এমনকি পাশ্ববর্তী বিভাগ থেকেও এখানে হালিম কিনতে এসেছেন অনেকেই।

কথা বলে জানা গেছে, নানা হালিমের মূল রাঁধুনির নাম মো. হজরত আলী। ৭৫ বছর বয়সী হজরত আলীকে কেউ এ নামে চেনে না। নানা নামের আড়ালে ঢাকা পড়েছে তার আসল নাম। নানা হালিম বিক্রি করতে গিয়েই তার আসল নাম হারিয়ে যায় বলে জানা গেছে।

নানা হালিমের কারিগর মো. হজরত আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে এ হালিম তৈরি করি। ভেজাল ছাড়া আসল হালিমের স্বাদ রোজাদারদের কাছে পৌঁছে দিতে আমার এ হালিম তৈরি করা হয়। আসল হালিমের স্বাদ নিতে আমার এখানে খুলনা শহরের মানুষের পাশাপাশি আশপাশের অনেক জায়গা থেকেও আসে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিদিন হালিম তৈরিতে ৬০ থেকে ৬৫ কেজি খাসির গোস্ত, ৬০ কেজি সোনামুগ ডাল, পোলাও চাল, দেশে ঘি, গম ও অনেক রকম মশলার মিশ্রণে প্রায় ১৬০ কেজি হালিম তৈরি করা হয়। এ ভেজালমুক্ত হালিম প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ টি ড্যাগে তৈরি করি। আমার কাজে সাহায্য করে ৬ জন সহকারী। শুধুমাত্র রমজানেই এ হালিমের ব্যবসা করেন তিনি।’

হজরত আলী বলেন, ‘প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার হালিম বিক্রি হয়। আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের আজানের আগেই সব হালিম বিক্রি শেষ হয়ে যায়। মাটির সানকিতে ১০০, ২০০, ৩০০, ৫০০, ৮০০, ১০০০ টাকা মূল্যের বিভিন্ন সাইজের পাত্রে হালিম বিক্রি করি।’

পাশ্ববর্তী জেলা পিরোজপুর থেকে নানা হালিম কিনতে আসা রেজাউল হাওলাদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ইফতারে নানা হালিম খাই আমরা। রোজার প্রথম দিকে বেশি পরিমাণে কিনে নিয়ে যাই। ফ্রিজে সংরক্ষণ করে খাই। শেষ হলে আবারও নিয়ে যাই। আমাদের ওখানে এতো ভালো হালিম পাওয়া যায় না।’

উল্লেখ্য, খুলনা নগরীর অনেক স্থানে হালিম পাওয়া গেলেও নানা হালিমের মতো এতো সুখ্যাতি কারও নেই। প্রতিবছর রমজান এলেই নানা হালিমের কদর যেনো আরও বেড়ে যায়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর