রংপুরে জমে উঠেছে ইফতার বাজার

রংপুর, জাতীয়

ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-30 09:50:19

রংপুরে জমে উঠেছে ইফতারির বাজার। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার ইফতার সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি পেলেও ক্রেতা সমাগমে কোনো ঘাটতি নেই।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে সরেজমিনে মহানগরীর বাণিজ্যিক এলাকা জাহাজ কোম্পানি মোড়, কাচারি বাজার, পায়রা চত্বর, শাপলা চত্বর, মেডিকেল মোড়, সিও বাজার, লালবাগ ঘুরে দেখা যায়, দুপুর গড়িয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানগুলোতে ইফতারির পসরা সাজিয়ে রাখা হচ্ছে।

রমজান মাসের প্রথম দিন থেকেই জমে উঠেছে ইফতারের দোকানগুলো। দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় ও বিক্রেতার ব্যস্ততা সরগরম হয়ে ওঠে ইফতার বাজার।

বর্তমানে রংপুরে ছোট-বড় সব ইফতার দোকান মিলে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকার ইফতার সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

রংপুরের ইফতার ঐতিহ্যে রয়েছে শাহী জিলাপি, ছোলা, বুন্দিয়া, বেগুনি, পিঁয়াজি, ডিম চপ, সবজি রোল, ছানার পোলাও, হালিম, হালুয়া, বুট বিরানি, ঝুরিয়া মুড়ি। আর কদর রয়েছে জিলাপি, বুন্দিয়া, বেগুনি, পিঁয়াজি আর হালিমের।

রোজাদারদের কাছে ইফতার সামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত বিভিন্ন ধরনের খেজুর ও মুড়ি। সর্বনিম্ন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত খেজুর এবং মুড়ি ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে জিলাপি ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি, বুন্দিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা, সিদ্ধ ছোলা ১১৫ থেকে ১৫৫ টাকা, ছানার পোলাও ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বেগুনি ৪ ও ৬ টাকা পিস, আলুর চপ ৩ থেকে ৫ টাকা, পিঁয়াজি ৩ থেকে ৫ টাকা, সবজি রোল ৮ থেকে ২৫ টাকা, শামী কাবাব ৩০ টাকা থেকে ৭০ টাকা, নিমকপোড়া ও চিড়া ভাজা ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কলা প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

 

রংপুরের কাচারি ববাজার, সেন্ট্রাল রোড ও জাহাজ কোম্পানি মোড়ে ইফতার সামগ্রী কিনতে আসা মেজবাহুল হিমেল, হারুন উর রশিদ, শরিফুল ইসলাম, আল আমিন সুমন, সাইফুল ইসলাম মুকুলসহ বেশ কয়েকজন বার্তা২৪.কমকে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ইফতার সামগ্রীর দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে অনেকেই তাদের পছন্দনীয় ইফতার ক্রয় করতে পারছেন না।

শাপলা চত্বর এলাকায় ইফতার কিনতে আসা আমজাদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে অভিযোগ করে বলেন, ‘ইফতার সামগ্রীতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ও রঙ। কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ছোট বড় মাঝারিসহ অধিকাংশ দোকানে দেদারসে এসব ইফতার সামগ্রীর বেচাকেনা হচ্ছে। আর আমার মতো ক্রেতারা বাধ্য হচ্ছে এই বিষাক্ত খাদ্য ক্রয় করতে।

এদিকে মূল্য বৃদ্ধি সত্ত্বেও দোকানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকায় বিক্রেতারা বেশ খুশি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর