ষষ্ঠ দিনে মাদরাসা শিক্ষকদের অবস্থান

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 16:18:24

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন শিক্ষকরা। একই সঙ্গে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছেন তারা।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি এ ধর্মঘটের আয়োজন করেছে। ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিতে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা কয়েক শত শিক্ষক-কর্মচারী অংশ নেন।

দুপুরে লিখিত বক্তব্যে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা হাফেজ ফয়েজুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬ দিন তারা অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালন করেন। তখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শিক্ষাসচিব শিক্ষকদের দাবি পূরণে আশ্বস্ত করেন। যা এখনো বাস্তবায়ন করা হয়নি।

তিনি বলেন, ‘১৯৯৪ সালে এক পরিপত্রে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি বর্তমান মহাজোট সরকার ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল জাতীয়করণ করে।’

ফয়েজুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা সব কিছুই করছে, অথচ মাস শেষে স্কুলের শিক্ষকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায় কিন্তু ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পায় না। তবুও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নেয় শিক্ষকতা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। দেশে মোট ১ হাজার ৫১৯টি মাদরাসা শিক্ষকদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক ২ হাজার ৫০০ টাকা, সহকারী শিক্ষক ২ হাজার ৩০০ টাকা ভাতা পান। আর বাকি প্রায় ৮ হাজার ৫০০টি মাদরাসার শিক্ষকরা প্রায় ৩৪ বছর যাবত বেতন-ভাতাই পান না।’

অবস্থান ধর্মঘটে শিক্ষকরা কিছু দাবিও তুলে ধরেছেন, যার অন্যতম দাবিগুলো হলো- প্রাথমিকে বিদ্যালয়ের ন্যায় মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ করতে হবে, কোডহীন মাদরাসাগুলোকে মাদরাসা বোর্ড কর্তৃক কোড নাম্বারে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রাথমিকে বিদ্যালয়ের ন্যায় প্রতিটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় অফিস সহায়ক নিয়োগ দেওয়া, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, মাদরাসাগুলোর আসবাবপত্রসহ ভবন নির্মাণ, পূর্বের ন্যায় এইচএসসি মানবিক শিক্ষকদের নীতিমালা অন্তর্ভুক্তকরণ এবং স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা করা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর