চট্টগ্রামের দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় এক তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের পর শ্মশানে লাশ পুড়িয়ে ফেলার দায়ে তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক বেগম রোকসানা পারভীন এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- সুজন কুমার দাশ, সমীর দে এবং যদু ঘোষ।
এদের মধ্যে গ্রেফতার সুজন কুমার দাশকে রায় ঘোষণার সময় আদালতে হাজির করা হয়। অন্য দুই আসামি পলাতক।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম সেন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গণধর্ষণ করায় তিন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে। আর ধর্ষণের পর পুড়িয়ে মারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণীর লাশ শ্মশানে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।’
২০১১ সালের ৮ জুন পাহাড়তলি থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার শ্মশান থেকে পান্না রানী দাশ নামের ওই তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পান্না রানী দাশ মিরসরাই উপজেলার বটগাছতল এলাকার ধনরঞ্জন দাশের মেয়ে। তিনি নগরীর পাহাড়তলী বিসিক শিল্প এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
ওই রাতে পান্নাকে দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার বোনের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে তাকে ধর্ষণের পর স্থানীয় হরিমন্দিরসংলগ্ন শ্মশানে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বোন চন্দনা রানী দাশ হত্যা মামলা করেন। ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত রায় দেন।