মানব পাচারকারী চক্রের প্রথম পছন্দ রোহিঙ্গা নারী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-27 11:39:44

মানব পাচারকারী চক্রের প্রথম পছন্দ রোহিঙ্গা নারীরা। কারণ, রোহিঙ্গা নারীরা সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হলেও পাচারকারী চক্রের সদস্যদের কোনো জবাবদিহিতা করতে হয় না। এছাড়া ভুক্তভোগীদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার ঝুঁকিও থাকে না।

বুধবার (২৭ মার্চ) মানব পাচারকারী চক্রের আটক ২ সদস্য সম্পর্কে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘এই মানবপাচারকারী চক্রের প্রধান আব্দুল হামিদ। সে ১৯৯০ সাল থেকে সৌদি আরবে বসবাস করে। ২০০৭ সালে সৌদিআরবে ৬ মাস কারাদণ্ডের পর, সে দেশে ফেরে। এরপর থেকেই সৌদি আরব ভিত্তিক মানব পাচার শুরু করে।

র‍্যাব-৩ এর এই অধিনায়ক পাচারকারী আব্দুল হামিদের বরাত দিয়ে বলেন, ‘সৌদি আরবে নারী পাচার করতে কোনো টাকা পয়সা খরচ হয় না। এ কারণেই খুব সহজেই অসহায় নারী ও তাদের অভিভাবকদের সৌদি আরবে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রলুব্ধ করা যায়। পাশাপাশি একজনকে পাচার করা জন্য সে ৫০ হাজার টাকা নেয়। তবে খরচ বাদে পাচারের পর ১৫ হাজার করে টাকা থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাজধানীর খিলগাঁও থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজন রোহিঙ্গা নারীকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারকারী চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়। তারা হলো- আবদুল হামিদ (৩০) ও রিয়াদ হোসেন (৩৪)।’

পাচারের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এমরানুল হাসান বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানকালে দালাল জাহিদের প্রলুব্ধ হয়ে সৌদি আরব যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নারীরা। পরবর্তীতে দালাল জাহিদ মার্চের প্রথম দিকে আব্দুল হামিদের বাসায় আসে। আব্দুল হামিদ পরবর্তীতে ট্রাভেলিং অ্যাজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করে। দালাল রিয়াদ হোসেনের মাধ্যমে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে কেরানীগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়। এ বিষয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ জানান, সে এখন পর্যন্ত ২০ জনকে সৌদি আরবের পাচার করেছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর