কীর্তনখোলায় ভাঙন প্রতিরোধে কার্যক্রম শুরু

বরিশাল, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বরিশাল, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 06:40:10

ভাঙন প্রতিরোধে বরিশালের র্কীতনখোলা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর বেলতলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট সংলগ্ন নদীতীরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম।

উদ্বোধনকালে, কীর্তনখোলা নদীর ভাঙন প্রতিরোধের কাজ যথাসময়ে শুরু না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী। এই কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে সতর্ক করে দেন তিনি। পাশাপাশি, কাজের গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামিম।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া এই দায়িত্ব আমি আন্তরিকতার সাথে পালন করব। সারাজীবন আমি সেনাবাহিনীতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করেছি। সেই ধারাবাহিকতা এখানেও বজায় রাখব।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্ষায় র্কীতনখোলা নদীর ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে সিসি ব্লক ফেলানো হবে। তারপর নদী ড্রেজিং এবং চরবাড়িয়া চর কেটে নদীর প্রশস্ততা বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ব্লক তৈরির জন্য ইয়ার্ড বানানো হয়ে গেছে। সেই ইয়ার্ডে কাজ শুরু হয়ে যাবে। আগামী ১ মার্চ থেকে নদীতে ব্লক ফেলা হবে। আশা করি, বর্ষার আগেই একটা ভালো পর্যায়ে আসতে পারবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটি পলি এবং খুব নরম। এর ফলে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে সারাবছরই নদী ভাঙন রোধে কাজ করে যাচ্ছে। কারণ নদী ভাঙন রোধের কাজের শুরু আছে শেষ নাই। যতদিন পর্যন্ত নদী থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে। এটা নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ নেই।

এ সময়, পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের প্রধান প্রকৌশলি জুলফিকার আলী হাওলাদার, বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া এলাকা রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ও পনি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলি রমজান আলী প্রমানিক এবং খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (প্লানিং) ও নৌ বাহিনীর ক্যাপ্টেন আল ফারুক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টুসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, এই প্রকল্পের আওতায় বরিশাল নগরীর বেলতলা থেকে চরবাড়িয়া পর্যন্ত ৪.৫১ কিলোমিটার এলাকায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হবে। এছাড়া, ১২ লাখ ২০ হাজার সিসি ব্লকও ফেলা হবে। এর মাধ্যমে কীর্তনখোলা নদীর তীর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ এবং নদীর ওপারে চরবাড়িয়া পয়েন্টে ৫.৬০ কিলোমিটার চর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা রক্ষা করা হবে।

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৯ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এটি শেষে হলে কীর্তনখোলা নদীর ভাঙনের কবল থেকে স্থানীয় মানুষের সম্পদ রক্ষার পাশাপাশি নদীর নাব্যতা সংকট দূর হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর