‘কোথায় সরকার?- আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-10 09:24:53

‘আমার বাচ্চা আমার শিশু। ঠিক মতো কথা বলতে পারতো না হাঁটতে পারত না।  ওরে মাইরা ফালাইছে; তিনতলা থেকে ফালাই দিয়া। আমি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি, কোথায় আমার সরকার? কোথায় আমার জনগণ?- আমি আমার মেয়ের হত্যাকারীর বিচার চাই’।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘আয়েশার হত্যাকারী নাহিদের বিচারের দাবিতে’ এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন আয়েশার মা রাজিয়া বেগম।

যৌন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের সভাপতি শিপন মানববন্ধনে বলেন, আয়েশাকে প্রথমে ধর্ষণ করে পরে তিন তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়। সেই খুনের বিচার চেয়ে একমাস ধরে তার মা  রাস্তায় রাস্তায় মানববন্ধন করেছে। গেন্ডারিয়া থানায় অভিযোগ করলে, ডিউটি অফিসার খুনিকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা রিপোর্ট, বা  চার্জশিট জমা দিয়েছে।

আরো বলেন, বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আয়েশার মাকে একা মানববন্ধন করতে দেখে আমরা দ্রুত তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। তারপর জানতে পারি, তদন্ত অফিসার বলেছেন, আয়েশা খুনের ঘটনায় কোনো ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি কিভাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ কথা বলেন। এতেই বোঝা যায় হত্যাকারী অর্থের জোরে রিপোর্ট পাল্টে দিয়েছে। কিন্তু আমরা এটা হতে দেব না আয়েশার বিচার না হলে শুক্রবার গেন্ডারিয়া থানা ঘেরাও করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।

দীননাথ সেন রোডের ৮২/১/সি নম্বর চারতলা বাড়ির পাশে টিনশেড বস্তিতে মা-বাবা ও তিন বোনের সঙ্গে থাকত শিশু আয়েশা। বাবা গ্রিল মিস্ত্রির কাজ করেন। প্রতিদিনের মতো ৫ জানুয়ারি গেন্ডারিয়ার সাধনা ঔষধালয়ের সামনের গলিতে খেলতে বের হয়। সেদিন সন্ধ্যায় চারতলা ভবনের সামনে আয়েশার রক্তাক্ত নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এলাকাবাসী সন্দেহ করে আয়েশারা যে বাড়িতে ভাড়া থাকে সেই বাড়ির মালিকের ছোট ভাই নাহিদ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তারা থানায় অভিযোগ করলে, প্রথম বিষয়টি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ। পরে এলাকাবাসী গেন্ডারিয়া থানা ঘেরাও করলে পুলিশ নাহিদকে গ্রেফতার করে।

নাহিদ ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে তার বাড়ি থেকে ওই শিশুর প্যান্ট এবং পুতুল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর