চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলে মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত থেকে হাড় কাঁপানো শীত পড়তে শুরু করেছে। উত্তরের মৃদু হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোর থেকে শীত বেড়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। আজ এ অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। যা দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বলে জানা গেছে।
ভোর থেকে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন সড়কে কর্মজীবী খেটে খাওয়া মানুষের ভিড় কম দেখা গেছে। শীতের তীব্রতায় বাড়তি কাপড় পরে রাস্তায় নেমেছে মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছামাদুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ভোর ৬টায় ছিল ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাজশাহীতে ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর অঞ্চলের তাপমাত্রা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।
মেহেরপুর শহরের নারী শ্রমিক আতিরন খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিন ভোরে উঠে কাজে যাই। আজকে প্রচণ্ড শীতের কারণে লেপের ভেতর থেকে উঠতে মন চাচ্ছিল না। তারপরেও পেটের তাগিদে বের হতে হয়েছে। কিন্তু শীতের যে অবস্থা তাতে কাজ করতে মন চাচ্ছে না।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন স্থানে শীত নিবারণে দরিদ্র কর্মজীবী মানুষরা পথেঘাটে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
গাংনী বাসস্ট্যান্ডের বাস লাইনম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ফজরের নামাজের পর থেকেই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মানুষের ভিড় শুরু হয়। কিন্তু শীতের কারণে আজ মানুষের উপস্থিতি তেমন নেই। শীতের যে তীব্রতা তাতে অতিরিক্ত কাপড় গায়ে দিয়েও স্বস্তি পাচ্ছি না।’