‘পুষ্টি নিরাপত্তার সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কযুক্ত’

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 02:32:04

গবেষণায় উঠে এসেছে পুষ্টি নিরাপত্তার সঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন সরাসরি সম্পর্কযুক্ত। আর খাদ্য নিরাপত্তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে পুষ্টিস্তরের উন্নয়ন।

সোমবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেচ ভবনে ‘ খাদ্য নিরাপত্তায় পুষ্টি কেন খুব গুরুত্বপূর্ণ: প্রমাণ বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) সেমিনারটি আয়োজন করে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইউনিটের (আইএফপিআরআই) বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. আখতার আহমেদ।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারটানের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব (পিপিসি), কৃষি মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বারটান পরিচালক কাজী আবুল কালাম (যুগ্ম সচিব)

আখতার আহমেদ বলেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে পুষ্টিস্তরের উন্নয়ন। প্রি-স্কুল পর্যায়ে খর্বকায়তা (স্টান্টিং) হ্রাসে বিশ্বে বাংলাদেশ উদাহরণস্বরূপ। ১৯৯৬-৯৭ সালে যেটা ছিল প্রায় ৫৫ শতাংশ, বর্তমানে তা ৩১ শতাংশে নেমে এসেছে।’

ড. আহমেদ বলেন, ‘আইএফপিআরআই’র এগরিকালচার নিউট্রিসিয়ান অ্যান্ড জেন্ডার লিংকেজেস’ শীর্ষক প্রকল্পে দেখা গেছে পুষ্টি নিরাপত্তা অর্জনে নারীর ক্ষমতায়ন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিলেট অঞ্চলে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি হওয়া সত্ত্বেও শিশুদের খর্বকায়তার (স্টান্টিং) মাত্রা বেশি। কারণ সেখানে নারীদের ক্ষমতায়নের মাত্রা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম।

তিনি যোগ করেন, ‘অপুষ্ট (লো বার্থ ওয়েট) শিশুর জন্ম খর্বকায়তার অন্যতম প্রধান কারণ।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে বারটানের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ নজমুল ইসলাম বলেন, ‘উন্নয়নের পথ ধরে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের প্রভাব মানুষের খাদ্যাভ্যাসেও বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে। বাংলাদেশ সরকার দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে এবং এখন পুষ্টিস্তর উন্নয়নে কাজ করছে। কৃষিনীতি ২০১৮-তে ফসল বৈচিত্র্যতার পাশাপাশি পুষ্টিসম্পন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনে গবেষণার প্রতি গুরত্বারোপ করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বারটান খাদ্যভিত্তিক (ফলিত পুষ্টি) পুষ্টি বিষয়ে দেশজুড়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশজুড়ে ২৮০টি ব্যাচে ৮৩৯৬ জনকে ফলিত পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা/শিক্ষক, ইমাম, এনজিও কর্মী, কিষাণ-কিষাণী। এছাড়া নবম গ্রেড ও তদূর্ধ্ব সরকারি কর্মকর্তাদের দেয়া হচ্ছে পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর