ইজতেমার ময়দানে হামলা পরিকল্পিত: মুফতি রুহুল আমিন

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 03:03:38

টঙ্গির বিশ্ব ইজতেমার ময়দানে তাবলিগ জামাতের সাথী, আলেম-উলামা ও ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক ও কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গার চেয়ারম্যান আল্লামা মুফতি রুহুল আমিন।

তিনি ন্যাক্কারজনক এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারসহ আহতদের সুচিকিৎসার দাবি করেছেন। সেউ সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত সময়েই বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ দেওয়ারও আহবান জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ এই আলেম।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড গওহরডাঙ্গা আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব দাবি জানান।

মুফতি রুহুল আমিন তার বক্তব্যে বলেন, ‘দিল্লির মাওলানা সাদের ভ্রান্ত আকিদা মওদুদিবাদকেও ছাড়িয়ে গেছে। এই মতবাদ এখন বাংলাদেশে জঙ্গি ফেতনায় রূপ নিয়েছে। এখনই তাদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় না আনলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা হুমকির মুখে পড়বে। কথিত এতায়াতের নামে ওয়াসিফ-নাসিম গংদের ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী যেভাবে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের রক্তাক্ত করেছে, খুন করছে- তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি পরিকল্পিত হামলা, যা দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং চৌকস গোয়েন্দা সংস্থার গৌরব নষ্ট করেছে। এখনই তাদের গ্রেফতার না করলে দেশের শান্তি বিনষ্ট হবে।

দেশের শীর্ষ এই আলেম আরও বলেন, আজকের সমাবেশ থেকে বলতে চাই, হামলার নির্দেশদাতা ওয়াসিফ-নাসিম-আশরাফ আলীসহ হামলাকারীদের গ্রেফতার না করা হলে দেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমানদের সঙ্গে নিয়ে কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে এবং যেকোনো অবস্থার দায়ভার সরকারকে বহন করতে হবে।

বাংলাদেশ শুরু থেকে সুনামের সঙ্গে ইজতেমার আয়োজন করে বিশ্ব দরবারে বাংদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত করেছে। এই সাফল্যের বিরুদ্ধে দেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা দেশবিরোধী একটি মহল অন্য কারো এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষে বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। ইজতেমার ময়দানে হামলা সেই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে মত প্রকাশ করেন মুফতি রুহুল আমিন।

মুফতি রুহুল আমিন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশের শীর্ষ আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ এবং তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বিরা দেশব্যাপী ওয়াজাহাতি জোড় করে সরকারকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সতর্ক করেছে এবং তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত, দেশের শীর্ষ উলামা-মাশায়েখ এবং কাকরাইলের শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্ধারিত সময়ে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা এবং এই আয়োজনের সহযোগী জোড় ইজতেমাসহ টঙ্গির ময়দানে সব কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সহযোগিতা করা।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গওহরডাঙ্গা মাদরাসার শায়খুল হাদিস মুফতি আবদুর রউফ, শিক্ষা বোর্ডের মহাসচিব মাওলানা শামছুল হক, খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা মাশহুদুর রহমান, মাওলানা কবির আহমাদ, মুফতি নুরুল ইসলাম ও মুফতি উসামা আমীনসহ অন্য নেতৃবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর