বাংলাদেশ-ভারত অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকলভুক্ত মোংলা-ঘাষিয়াখালী চ্যানেলের দুই পাশের ভরাট হয়ে যাওয়া সংযোগ খালগুলো পুন: খনন করায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খাল খননে এখানকার শত শত পরিবারের বসত বাড়িতে থাকা মূল্যবান ফলদ ও বনজ গাছ কেটে ও উপড়ে ফেলতে হচ্ছে, চিংড়ি ঘেরের ক্ষতি হচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন জানাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বাগেরহাটের রামপালের মাতিন মোল্লা নামক এক কৃষক তার ৫০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে উল্লেখ করে ক্ষতিপূরণের দাবিতে লিখিত আবেদনও করেছেন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর লিখিত আবেদনে তিনি উল্লেখ্য করেছেন, মোংলা-ঘাষিয়াখালী আর্ন্তজাতিক নৌ চ্যানেল সংলগ্ন রামপাল উপজেলার পেড়িখালী ইউনিয়নের রোমজাইপুর এলাকায় ভারানিয়া-চামারখালী খাল খননের সময় পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ছোট কাটালি মৌজার ৪৭০ নং খতিয়ানের ১৭০ ও ১৭১ দাগের উপর দুই দশমিক ৫৮ একর জমির উপর থাকা বাগানবাড়ি ও মাছের ঘেরের একাংশ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার খনন কাজে ব্যবহৃত যন্ত্র দিয়ে গাছ-পালা উপড়ে ফেলে ও সব গুড়িয়ে দেয়। এতে ঐ মৎস ঘের ও বাগানবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
লিখিত অভিযোগে আরও জানান, তার বাগানে থাকা মূল্যবান মেহগনি, বেল, নিম, গাব, আম, জাম, নারকেল, লেবু, সিরিস, ছফেদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির এক হাজার ২৪০টি গাছ উপড়ে ও গুড়িয়ে নষ্ট করা হয় এবং মৎস্য ঘেরেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়। এতে তার প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তুষার কুমার পালের সাথে মোবাবইল ফোনে যোগোযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মোঃ আবু হানিফ বলেন, ‘এখানে নতুন এসেছি, তাই এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানি না ‘
বাগেরহাটের পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম রিফাত জামিল বলেন, ‘আবেদনকারী কিংবা অভিযোগকারী যদি প্রকৃতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকেন তাহলে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’