মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে বীরশ্রেষ্ঠর সহধর্মিনীকে

খুলনা, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 02:16:01

নিজের ইচ্ছায় মেয়ের কবরের পাশে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুননেছাকে দাফন করা হবে। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে নড়াইল সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিজিবি সদর দপ্তরে বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে সড়ক পথে মৃতদেহ মাওয়া-কালনা হয়ে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামে গিয়ে যেখানে তিনি বসবাস করতেন সেখানে রাখা হবে। এরপর মৃতদেহ নেওয়া হবে সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের ধুড়িয়া গ্রামে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে চির নিদ্রায় শায়িত হবেন বেগম ফজিলাতুননেছা।

স্বামী নূর মোহাম্মদ শেখের দুটি বিয়ে থাকার কারণে ফজিলাতুননেছা তার সন্তানদের নিয়ে ধুড়িয়া গ্রামের বাড়িতে বাস করতেন। সেখানেই ফজিলাতুননেছার একটি মেয়ের কবর রয়েছে। সেই কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হবে।

ফজিলাতুননেছার নাতি জামাই মুন্সী আসাদুর রহমান জানান, সদর উপজেলার ধুড়িয়া গ্রামের বাড়ির জমিটি মসজিদ ও মাদরাসার জন্য দান করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগেই। তার নানি শাশুড়ি মৃত্যুর আগেই জানিয়ে গেছেন তাকে যেন গ্রামের বাড়িতে তার মেয়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়। সেজন্যই গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

স্বামী নূর মোহাম্মদের জন্মস্থান পার্শ্ববর্তী মহিষখোলা গ্রামে (বর্তমান নাম নূর মোহাম্মদ নগর)। ১৯৬৪ সালে ফজিলাতুন্নেছার সঙ্গে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের তিনটি মেয়ে। বর্তমানে দুটি মেয়ে বেঁচে আছেন এবং অপর পক্ষের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়েন ফজিলাতুন্নেছা। এরপর অ্যাম্বুলেন্সযোগে ২৭ অক্টোবর তাকে বিজিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার রাত ৭টার দিকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি তিন মেয়ে-এক ছেলে, নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর