আগাম বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে কৃষকের স্বস্তি

খুলনা, জাতীয়

মাজেদুল হক মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 07:54:11

এ বছর মেহেরপুরে ধান ও গ্রীষ্মকালীন সবজিতে আশানুরূপ দাম পাওয়া যায়নি। তবে আগাম শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছে তারা। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে জনপ্রিয় এই সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে। ভালো দাম পাওয়ায় বেশ স্বস্তিতে রয়েছে জেলার কৃষকরা।

কৃষক সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবজি খ্যাত জেলা মেহেরপুরে এবার বেশ আগে থেকেই উঠতে শুরু করেছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৮৫৬ হেক্টর জমিতে আগাম শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ হয়েছে।

সাহারবাটি গ্রামের কৃষক তহসিন আলী জানান, চলতি মৌসুমে কম বৃষ্টিপাতের কারণে বেশ আগেই কপি তোলা যাচ্ছে। ক্ষেত থেকে প্রতি বিঘা ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাইকারি বিক্রি চলছে। এতে লাভও হচ্ছে বেশ। এমন দর অব্যাহত থাকলে কৃষকরা অন্যান্য আবাদের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবে।

একই গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, কার্তিক মাসের আগে থেকেই বাঁধাকপি ও ফুলকপি তোলা শুরু হয়েছে। তখন পাইকারি প্রতি কেজি কপি ৪০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। এখন দাম কিছুটা কম। তবে এতে লাভ কিছুটা কমলেও তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

এদিকে মেহেরপুর তহবাজার (পাইকারি কাঁচাবাজার) থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি ট্রাকে ভর্তি করে বাঁধাকপি ও ফুলকপি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন শহরে। অপরদিকে বাইরের ব্যাপারীরাও আসছে মেহেরপুরে। তারা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পাইকারি দামে ক্রয় করছে। এতে কৃষকরাও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে।

কৃষক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমান বাজার দরে বিঘা প্রতি প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আক্তারুজামান জানান, এ জেলার কৃষকদের মধ্যে সৃষ্টিশীলতা লক্ষ্য করা যায়। কৃষি বিভাগের পরামর্শে সারা বছরই সবজি চাষ হয়। ফলে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে। বিদায়ী বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবার সবজি চাষ ভালো হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর