শেখের বেটি একখান ঘর দিছে, সেখানেই থাকি

খুলনা, জাতীয়

শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 16:06:04

নড়াইলে সহায়-সম্বলহীন ১ হাজার ৬৫০টি পরিবার আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ঘরে বসবাস করছে। এছাড়া জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পে জেলায় ৫২৯টি নতুন ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না। গৃহহীনদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার কাজ করছে। যুগান্তকারী এই প্রকল্পের আওতায় যে সব পরিবারের জায়গা জমি নেই তাদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প করে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। আর যাদের জমি আছে ঘর নেই তাদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণ করেছে সরকার। বিভিন্ন পর্যায়ে সরকার জেলায় ১৯টি ব্যারাকে মোট ১ হাজার ৬৫০টি পরিবারকে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এ প্রকল্পে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯টি ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।

জেলায় ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্পের ৩টি ব্যারাক রয়েছে। এখানে বসবাস করছে ৩৫০টি পরিবার। আশ্রয়ন প্রকল্পের (ফেইজ-২) ৪টি ব্যারাক রয়েছে। এখানে ৪৪০টি পরিবার বসবাস করছে। আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ১২টি ব্যারাক রয়েছে। এখানে ৮৬০টি পরিবার বসবাস করছে।

অপরদিকে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পে ৫৩০টি ঘর নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে ৪৮৪টি, নির্মাণ কাজ চলছে ৪৫টির এবং জমি না থাকায় একটির টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা। ৫২৯টি ঘর নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছে ৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

নড়াইল সদর উপজেলার চিত্রা আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমার জায়গা জমি কিছুই ছিল না। আমাকে থাকার জন্য এখানে একটা ঘর দেয়া হয়েছে। স্ত্রী-ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এখানে থাকি।’

লোহাগড়া উপজেলার মাইটকুমড়া আশ্রয়ন প্রকল্পের (ফেইজ-২) বাসিন্দা খাদেজা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগেই। আমার এই পৃথিবীতে আপন কেউ নেই। শেখের বেটি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) একখান ঘর দিছে। সেখানেই থাকি। আল্লাহ তার ভালো করুক।’

কালিয়া উপজেলার ডুমুরিয়া-দেবদুন আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের বসবাসকারী নলিনী বিশ্বাস বলেন, ‘এক সময় জায়গা-জমি ছিল। তবে নদী ভাঙনে সব চলে গেছে। এখন এখানে থাকি পরিবার নিয়ে।’

নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কাজী মাহাবুবুর রশিদ বার্তা২৪.কমকে জানান, সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেলায় ভূমিহীন এবং যার ‘জমি আছে ঘর নাই’ তাদের জন্য থাকার ব্যবস্থা এবং ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে। কাজ চলমান রয়েছে। নতুন করে আরও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। এটি বর্তমান সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত যে দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না।

এ সম্পর্কিত আরও খবর