শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন পেয়েছেন।
এরপর উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমানের আদালত খসরুর জামিনের জন্য ২০ হাজার টাকার বন্ড নির্ধারণ করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।
সোমবার আমীর খসরুর সাথে আদালতে যান চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মী। পরে জামিনের প্রক্রিয়া শেষে তারা আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ৪ আগস্ট রাতে আমীর খসরুর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭(২) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরের কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছিলেন। ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রে নৈরাজ্য সৃষ্টির উদ্দেশে তিনি উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। মামলার বাদী মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর একজন শান্তিকামী নাগরিক হিসেবে এ মামলা করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি অডিও ক্লিপে কুমিল্লা থেকে নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে লোকজনকে নামানোর জন্য কথা বলতে শোনা যায় তাকে।