সবকিছুর সমাধানে ‘মা’

বিবিধ, লাইফস্টাইল

লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪ | 2023-09-01 03:44:08

মধুর আমার মায়ের হাসি, চাঁদের মুখে ঝরে, মাকে মনে পড়ে আমার মাকে মনে পড়ে! 

মায়ের মুখের মতো শান্ত, স্নিগ্ধ আর কোমল মুখ বোধহয় আর কারো হয় না। সেই মায়ের কাছ থেকে দূরে আছেন। কাজকর্ম, নতুন জীবন নিয়ে এতোই ব্যস্ত যে সারাদিনে হয়ত মায়ের সঙ্গে মন খুলে কথা বলার দুদণ্ড সময়ও মেলে না।

মা কিন্তু তার সন্তানের অপেক্ষা করেন। কবে বাড়ি আসবে, কখন ফোন দেবে, এখন ফোন দিলে ছেলে বা মেয়েটাকে ব্যস্ত পাবো না তো, শরীর খারাপ করলো কি না, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলো কিনা- এই চিন্তাগুলো মায়ের চিরন্তনই থাকে। 

দূরে থাকুন বা কাছে, মা’কে মনে প্রাণে সবসময় ধারণ করুন। কাজের অজুহাতে তাকে ভুলে যাবেন না। সে সবচেয়ে বড় ভরসা, এটা মনে রাখতেই হবে। আমরা সময়ে অসময়ে বলে ফেলি মা বেশি বকাবকি করে, সব কথাতেই যেন তার নাক গলানো চাই। মাঝেমাঝে মায়ের কথাকে বকবকানিও মনে হয়। কিন্তু দূরে বা কষ্টে থাকলে বোঝা যায় এই মা কতো আপন, আদর ভালোবাসার ভাণ্ডার নিয়ে একমাত্র এই মানুষটিই বসে থাকেন।

যখন অসম্ভব কষ্ট হয়, মানসিক চাপে থাকেন, কেউ কোনো প্রতারণা করে- সবার আগে চোখে ভাসে মায়ের মুখটি। কেননা এই মানুষটি সন্তানের যাবতীয় অন্যায় অনাচার মুখ বুজে মেনে নেন, সবকিছুর সমাধান করে দেন হাসিমুখে। যে মমতাময়ী মা চিরন্তন ভালোবাসায় তিলে তিলে গড়ে তোলেন সন্তানকে সেই মাকে জেনেশুনে কষ্ট দিলে নিজে কি শান্তিতে থাকা যায়!

মায়ের কাছে তো যত শান্তি।

 

মা সারাজীবন সন্তানের জন্য নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেবে, তারও তো কিছু প্রত্যাশা থাকে সন্তানের প্রতি। এজন্য প্রতিদিন প্রকাশ করুন মাকে কতটা ভালোবাসেন। মায়ের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়, তবে তার পাশে থাকা সম্ভব। ভাবছেন কীভাবে মায়ের প্রতি ভালবাসা প্রকাশ করবেন? খুব সহজেই মায়ের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করা যায়।

যেখানেই থাকুন না কেন, প্রতিদিন নিয়মিত মায়ের খোঁজখবর নিন, ফোন দিন। তাকে নিজের খোঁজ দিন। তাকে সময় দিতে চেষ্টা করুন। যত ব্যস্ততা থাকুক, একটা নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিদিন তাকে ফোন দিন। 

মায়েরা নিজের কাজ, সংসারের কাজ, কর্মস্থলের কাজ সামলাতে হিমশিম খায়। তার নিজের বলতে তো তেমন কিছুই থাকে না। তাকে নিয়ে মাঝেমধ্যে কোথাও ঘুরতে যান। তার পছন্দের কোথাও নিয়ে যান। তার পছন্দের গানগুলো তার ফোনের সংগ্রহে দিয়ে রাখুন, সে অবসরে গান শুনবে, তার অতীত স্মৃতি রোমন্থন হোক।

আজীবন গর্ব করে বলতেন মায়ের হাতের রান্নার মতো কিছু হয় না। শুধু মায়ের হাতে না খেয়ে মাকেও মাঝেমাঝে রান্না করে খাওয়ান শখের কোনোকিছু। তার কাছ থেকেই আগ্রহ নিয়ে শিখে নিন তার পছন্দের কোনো খাবার।

মায়ের মুখের হাসি খুবই জরুরি। আপনার সাফল্য তাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দেবে। তাই তার কষ্টের মর্যাদা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন সফল হতে। আর মায়ের পছন্দ আপনি অবশ্যই জানেন। তাকে সেই পছন্দের কিছু উপহার দিন। তার বা আপনার জন্মদিনে, মা দিবসে, বাবা-মায়ের বিবাহবার্ষিকী ছাড়াও মন ভালো থাকার দিনে তাকে উপহার দিন। শাড়ি, বই, ফটোফ্রেম দিতেই পারেন মাকে। 

পাশে থাকুন সবসময়। তার কোনো সংকট বা  মন খারাপের সময়ে সঙ্গে থাকুন, অভয় দিন। প্রয়োজনে সমাধান দিন। জেনেশুনে কখনো কষ্ট দেবেন না তাকে। দিয়ে ফেললেও মন থেকে সরি বলুন তাকে। নিজের সব সংকটে তার কাছে সমাধান চান। যতো বড়ই হোন না কেন, আপনার জন্য মা-ই হতে পারে সবচেয়ে বড় সমাধান।

আরও পড়ুন: চমৎকার সম্পর্কের গাঁথুনিতে মা ও মেয়ে

এ সম্পর্কিত আরও খবর