নাশতার জন্য ‘পারফেক্ট’ পাঁচ খাবার

খাদ্য, লাইফস্টাইল

ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল | 2023-08-31 15:13:20

নানাবিধ অস্বাস্থ্যকর খাবারের মাঝে নিজেকে সুস্থ রাখা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জই বটে।

জাংক ফুড ও অস্বাস্থ্যকর কার্বযুক্ত খাবারে ওজন বেড়ে যায় অনেকখানি, দেখা দেয় ওবেসিটি। জাংক ফুডে থাকা উচ্চমাত্রার চিনি ও ক্ষতিকর ফ্যাট ওজন বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অসুস্থতাও তৈরি করে। মূলত এ কারণেই প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে উচ্চমাত্রার আঁশযুক্ত খাবার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

প্রতিদিন আঁশযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর কার্বযুক্ত খাদ্য গ্রহণে ওজনকে খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। সকালের নাশতায় আঁশযুক্ত উপকারী খাবার খেলে উপকারিতা পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি। তাই জেনে রাখুন সকালে নাশতার টেবিলে কোন পাঁচটি খাবার আপনাকে সুস্থ রাখতে ও ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে।

আপেল

রঙ (লাল ও সবুজ আপেল) ও আকারের উপর নির্ভর করে প্রতিটি আপেলে থাকে ১৩-১৫ শতাংশ পর্যন্ত উপকারী কার্ব, ভিটামিন ও মিনারেল সমূহ। অন্যতম স্বাস্থ্যকর এই ফল থেকে আরও পাওয়া যাবে সুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও আঁশ। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিনের নাশতায় একটি আপেল অবশ্যই রাখা প্রয়োজন।

মিষ্টি আলু

সবজির মাঝে মিষ্টি আলু দারুণ পুষ্টিকর। যেখানে সাধারণ আলু পরিমিত খাওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া, সেখানে মিষ্টি আলু একেবারেই ভিন্ন। এতে থাকা স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং এতে থাকা আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-এ, ম্যাংগানিজ ও ভিটামিন-সি মিষ্টি আলুকে অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে পরিচিত করেছে। এছাড়া মজাদার এই সবজিতে থাকা পরিমিত মাত্রার কোলেস্টেরল, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, সোডিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সারাদিন সতেজ থাকতে সাহায্য করবে।

কলা

সুমিষ্ট ও সুপরিচিত এই ফলটি থেকে পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যকর ২৩ শতাংশ কার্ব। কাঁচা কলাতে মিষ্টিভাব তথা চিনির মাত্রা খুবই কম থাকে। সেদিক থেকে দেখতে গেলে পাকা কলাতে মিষ্টিভাব বেশ ভালো থাকে। উচ্চমাত্রার ভিটামিন-বি৬, পটাশিয়াম ও ভিটামিন-সি এর উপস্থিতির জন্য সকালের নাশতায় ছোট একটি পাকা কলা প্রতিদিন রাখার চেষ্টা করতে হবে।

কুইনো

সম্পূর্ণ গ্লুটেনবিহীন কুইনোতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্যআঁশ। তবে এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাল ও প্রদাহ বিরোধী উপাদান। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক ও আয়রন সমৃদ্ধ এই খাবারটি সকালের নাশতার প্রধান খাদ্য হিসেবে রাখলে স্বাস্থ্য ও ওজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগা লাগবে না একদম।

ওটস

ইতোমধ্যে সকালের নাশতার অন্যতম স্বাস্থ্যকর ও বহুল বিক্রিত খাদ্য উপাদান হিসেবে ওটস পরিচিতি পেয়েছে। অন্যতম স্বাস্থ্যকর দানাদার এই খাদ্য উপাদানটি মিনারেল, ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চমৎকার প্রাকৃতিক উৎস। ১০ শতাংশ খাদ্যআঁশ ও ৬০ শতাংশ স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন রক্তে চিনির মাত্রা কমাতে কাজ করে। সাথে অবশ্যই ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে উপকারী ওটস।

আরও পড়ুন: কতটা জানেন কুইনোর স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে?

আরও পড়ুন: অনবদ্য খাদ্য উপাদান ওটস

এ সম্পর্কিত আরও খবর