সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় আদম তমিজির জামিন

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-04-04 17:19:27

 

সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজি হককে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তমিজি হকের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সাকির উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম। তমিজি হকের আইনজীবী সংবাদ মাধ্যমকে জানান, এ জামিনের ফলে তার মুক্তিতে আর কোন বাধা নেই।

গত ৯ ডিসেম্বর রাতে গুলশানের বাসা থেকে আদম তমিজি হককে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর মানসিক হাসপাতাল ও দুই দফা রিহ্যাব সেন্টার ঘুরে গত ৪ জানুয়ারি কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর গুলশানের ১১১ নম্বর রোডের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। সে সময় আদম তমিজি আত্মহত্যার হুমকি দিলে তাকে গ্রেফতার না করে ফিরে আসে র‌্যাব। পরে গত ১০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আদম তমিজি হককে আটক করে ডিবি।

আটকের পর ডিবি প্রধান হারুন বলেন, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আদম তমিজি হক বলেন, তার মা অর্ধেক ইসরাইল। তিনি ইসরাইল সরকার ও আমেরিকান মেরিন সেনাদেরকে আহ্বান করছিলেন তাকে উদ্ধার করার জন্য। কারণ তিনি নাকি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক আটককৃত অবস্থায় আছেন। যা একেবারেই মিথ্যা। এর আগেই তিনি এয়ারপোর্ট থেকে দেশে ফিরেছেন। সরকার তাকে আটক করতে চাইলে বিমানবন্দর থেকেই আটক বা গ্রেফাতার করতে পারত।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি পাসপোর্ট আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখান, যে দেশে তার শিল্প কারখানা আছে। যে কারখানার আয় দিয়ে চলেন সেই দেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে দেওয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

তাকে গ্রেফতারের পর তার আচরণ ও কথাবার্তায় সুস্থতার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে মাদক নিরাময়কেন্দ্র বা রিহ্যাবে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। রিহ্যাবে ভর্তি করিয়ে বিষয়টি আদালতে জানানো হয় পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

ডিবি প্রধান আরও বলেন, মানসিক হাসপাতালে ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করা হয়। এই বোর্ডের সামনে তাকে হাজির করা হয়। বোর্ডের সদস্যরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানায়, তিনি (তমিজি) এখনো মানসিকভাবে সুস্থ নন। পরে তাকে ফের রিহ্যাবে পাঠানো হয়। অবশেষে ৪ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর