নীতিমালা ছাড়া ‘মৃত্যুদণ্ড’ সংবিধানের সাংঘর্ষিক নয় কেন, জানতে চায় হাইকোর্ট

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-01-31 00:29:41

নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড প্রদান কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নীতিমালা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) এ-সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ’র বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে সাধারণ নীতিমালা ছাড়া শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ইশরাত হাসান নিজেই। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড অন্য শাস্তি থেকে আলাদা। তাই কখন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যাবে সে বিষয়ে নীতিমালা থাকা দরকার, যাতে আইনে আছে বলে চাইলেই কাউকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না যায়।’

পরে ইশরাত হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নীতিমালা ছাড়া মৃত্যুদণ্ড আরোপ সংবিধানের কয়েকটি (৭,২৭, ৩১,৩২ ও ৩৫) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন নীতিমালা করা হবে না, তা রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুজন সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।’

রিট আবেদনে বলা হয়েছে, দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধিতে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবিধানের ৩২ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমনকি বাংলাদেশ একাধিক কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছে, যেখানে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিশ্বের ১১২টি দেশ এরই মধ্যে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ করেছে। এসব যুক্তিতেই রিটটি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর শাস্তিসংক্রান্ত ৫৩ ধারায় বলা হয়েছে, প্রথমত শাস্তি হচ্ছে ‘মৃত্যু’। আর ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৩৬৮ (১) ধারায় মৃত্যুদণ্ডের শাস্তি সম্পর্কে বলা হয়েছে, কারও মৃত্যুদণ্ড হলে তাঁকে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখতে হবে।

 

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর