পিরোজপুর-১ ও ২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে প্রকাশিত গেজেট বৈধ বলে ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিমের নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নির্বাচনী আসন পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে এ রায় দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে আদালত বলেন, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনর্নির্ধারণ করেছেন। আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি। ফলে রুল খারিজ।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম কে রহমান, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন মিয়াজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কামাল খান দাউদ।
গত ৩ জুন প্রকাশিত নির্বাচন কমিশনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানি উপজেলা। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে। ফলে এখন পিরোজপুর-১ আসনের সীমানায় থাকছে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানি উপজেলা। আর পিরোজপুর-২ আসনে থাকছে কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ উপজেলা।
নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান, নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
পরে গত ৩০ জুলাই সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুসপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। শুনানি শেষে আদালত রুলটি খারিজ করে দিয়েছেন।