মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলা ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 18:58:37

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে মামলাটি ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।

রোববার (২৭ আগস্ট) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন। আদালতে মুক্তির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ মামুন মাহবুব। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম।

এর আগে, গত ১৯ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তির জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তথ্য গোপন করে জামিন আবেদন করায় তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।

বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির কাছ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিন দিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

২০১৪ সালে এই মামলায় জড়িত থাকা সন্দেহে আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা এবং মোহাম্মদ আলী নামে দুই জনকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাদের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে এই হত্যার সঙ্গে টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান ওরফে মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান ওরফে কাকন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সহ-সভাপতি সানিয়াত খান ওরফে বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

তদন্ত শেষে গোয়েন্দা পুলিশ ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এতে সংসদ সদস্য আমানুর রহমানরা চার ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।

এ সম্পর্কিত আরও খবর