চট্টগ্রামে নিরাপত্তা প্রহরী হত্যায় দুইজনের যাবজ্জীবন

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম | 2023-09-01 18:16:29

চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের নিরাপত্তা প্রহরী রবিউল হত্যা মামলায় দুই জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মামলার অন্য দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঞাঁ এই রায় দেন।

দণ্ডিতরা হলেন- আলমগীর হোসেন ও আবু তাহের। এছাড়া রায়ে মোরশেদ আলম ও ইসমাইল হোসেন নামে দুজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রবিউল আলম হালিশহর থানার সবুজবাগ এলাকার একটি গ্যারেজেরের নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৫ সালের ১৯ ডিসেম্বর তিনি কর্মস্থলে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরদিন সকালে গ্যারেজে রবিউল আলমের মরদেহ পড়ে আছে বলে পরিবারকে খবর দেন গ্যারেজ ম্যানেজার। সেখানে রবিউল আলমকে হাত-পায়ে জখম ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় তৎকালীন হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.আলী বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন পরিদর্শক আব্দুর গফুর মামলার তদন্ত শেষে করে ২০০৮ সালের ৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০০৯ সালের ৮ জুলাই চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. নোমান চৌধুরী বলেন, ২০০৯ সালের ৮ জুলাই চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে রবিউল হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার দুজন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্য দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

রায়ের সময় খালাসপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন। পরে আলমগীরকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়। এবং পলাতক আবু তাহেরের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর