জবি ছাত্রী খাদিজাকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ

, আইন-আদালত

জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 01:36:37

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরাকে জামিন দেননি আপিল বিভাগ। প্রায় ১০ মাস ধরে কারাগারে আছেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা।

সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বেঞ্চ ৪ মাস খাদিজার জামিন স্ট্যান্ডওভার রাখেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি।

খাদিজা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচারসহ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজা ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা হয়।

খাদিজাতুল কুবরার বোন সিরাজুম মনিরা বলেন, উনারা এমন কেন করছে আমার বোনের সাথে। কুরবানির ঈদের আগে ২৯ জুন শুনানি হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু শুনানি তখনও পিছানো হয়েছে। আজ একবারে ৪ মাস জামিন স্ট্যান্ডওভার রেখেছেন।

তিনি বলেন, আমার বোন খাদিজা ভালো নেই, জেলের ভিতর মানুষ কেমনে ভালো থাকতে পারে। ওর কিডনি স্টোন ছিলো ঠিকভাবে ট্রিটমেন্ট করা হয় নাই। ওখান থেকে রিপোর্ট করছে ওরা বলতেছে ও নাকি এভসুল্যাটলি ফাইন। কিন্তু ওর (খাদিজা) সাথে দেখা হলে বলে, ওর শরীর একদমই ভালো থাকে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন তার অতিসত্বর জামিন চাই। একটা মেয়ে মানুষ দশ মাসের বেশি সময় ধরে জেলে আছে। এটলিস্ট ওরে পড়াশোনার সুযোগ করে দেয়া দরকার। আমরা চাই ওর পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরের শৃঙ্খলা বোর্ডে বিষয়টা আলোচনা করবো, কি করা যায়। বিষয়টা যেহেতু আদালতে আছে আদালতের মাধ্যমে সে বেরিয়ে আসুক।

প্রসঙ্গত, অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালে অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে পুলিশ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা দুটি মামলার এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম।

একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার এসআই আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মুঠোফোনে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর