গৃহবধূকে ধর্ষণের ১৬ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুডিগ্রাম | 2023-08-30 06:19:37

২০০৭ সালে দায়েরকৃত মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আবুল কালাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১২ অক্টোবর) কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক অম্লান কুসুম জিষ্ণু এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আবুল কালাম উলিপুরের ধামশ্রেণি ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে বলে জানা গেছে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি আবুল কালাম ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে উলিপুরের এক গৃহবধূকে বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করে। এরপর একই আশ্বাসে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জেরে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে পড়লে আবুল কালাম ওই নারীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বলেন। পরে ওই নারী বাধ্য হয়ে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিন মাসের গর্ভবতী অবস্থায় আবুল কালামকে আসামি করে উলিপুর থানায় মামলা করেন। ধর্ষণের ফলে ওই নারী গর্ভবতী হয়ে একটি ছেলে সন্তান প্রসব করলেও আসামিপক্ষ সন্তানের দায় স্বীকার করেনি। পরে ২০১১ সালে ভুক্তভোগী নারী আদালতে ডিএনএ পরীক্ষার আবেদন করেন।

দায়রা আদালতে সেই আবেদন খারিজ হলে পরে উচ্চ আদালতে যান ওই নারী। উচ্চ আদালত ২০১৯ সালে ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি দিলে পরীক্ষায় ভুক্তভোগী নারী ও আসামি আবুল কালাম ওই সন্তানের জৈবিক মা-বাবা বলে প্রমাণিত হয়। পরে আদালত সামগ্রিক দিক বিবেচনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর (সংশোধিত ২০০৩) ৯ (১) তৎসহ ৩১৩ ধারা অনুযায়ী আসামি আবুল কালামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পিপি আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক সরকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর