মিয়ানমারে কমছে বাক স্বাধীনতা

এশিয়া, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 18:31:43

মিয়ানমারে নতুন সরকারের আমলে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নতুন এক প্রতিবেদনে এমনটা বলা হয়েছে।

শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) ‘আশা ভঙ্গ: মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ মত প্রকাশের অপরাধকরণ’ শিরোনামে ৮৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটিতে, ২০১৬ সালে অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে সাংবাদিকদের ওপর চাপ প্রয়োগের বিশ্লেষণ ও সমালোচনা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) এবং কিয়াও সো ওকে (২৮) কারাদণ্ড দেয়ার কথা সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, 'দেশটির সেনাবাহিনী এই দুই সাংবাদিককে ইচ্ছাকৃতভাবে দণ্ডিত করেছে।'

মিয়ানমারে টেলিযোগাযোগ আইনের ৬৬ (ডি) ধারার অপব্যবহার হচ্ছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মিয়ানমারের ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার ও ২০১৬ সাল থেকে আইনি ও নীতিমালা পরিবর্তনজনিত বিষয়গুলো বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এর আওতায় মিয়ানমারে টেলিযোগাযোগ আইন, শান্তিপূর্ণ জমায়েত ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আইন এবং মিয়ানমারের পেনাল কোডের মতো আইনগুলোর ব্যবহার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'মিয়ানমার সরকারের উচিত শান্তিপূর্ণ বক্তৃতা ও জমায়েতের বিরুদ্ধে আইনের ব্যবহার বন্ধ করা এবং স্বাধীন মত, জমায়েত ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষায় আইনের সংস্কার করা।'

মিয়ানমার জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী সদস্য জায়ার হেইং বলেন, 'নির্বাচনের আগে ২০১৫ সালে সাংবাদিকতা সুরক্ষা এবং গণমাধ্যমের উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এনএলডি। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিন দিন খারাপ হচ্ছে।'

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক আইনি উপদেষ্টা লিন্ডা লাখধির বলেন, ‘অং সান সু চি ও এনএলডি একটি নতুন মিয়ানমারের অঙ্গীকার করেছিল। তবে সরকার এখনও শান্তিপূর্ণ বক্তব্য দানকারী ও বিক্ষোভকারীদেরকে বিচারের মুখোমুখি করে যাচ্ছে। দমনমূলক পুরনো আইন পরিবর্তনেও ব্যর্থ হয়েছে সরকার।'

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

এ সম্পর্কিত আরও খবর