প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের হাতে কোনো কর্তৃত্ব নেই দাবি করে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, দেশ (পাকিস্তান) চালাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) আল-কাদির ট্রাস্ট মামলার শুনানি শেষে আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ইমরান।
রোববার (৭ এপ্রিল) পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান বলেন, বাদশাহ (শেহবাজ) পেছনে বসে আছে আর (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) মহসিন নাকভি তার বড়লাট হিসেবে (দেশ শাসনের) কাজ চালাচ্ছেন।
পাকিস্তানে গত বছর ৯ মে সহিংসতার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার শুরু হয়। সে সময় অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে দল ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
ইমরান জানান, কয়েকজন পিটিআই নেতা এখনো নিজেদের স্বার্থে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পিটিআইর কয়েকজন নেতা 'এখনও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে'। খুব সম্ভবত তাদের উদ্দেশ্য দরকষাকষি করা। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের স্বার্থে তিনি যে কারও সঙ্গেই সংলাপ করতে প্রস্তুত। তবে তার দাবি, পিটিআইকে 'ভেঙে' ফেলার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
পিটিআই’র প্রতিষ্ঠাতা জানান, যদি তিনি সাবেক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন, তাহলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যে কারও সঙ্গেই বৈঠক করতে পারেন। ২০২২ সালের এপ্রিলে পিটিআই সরকারের পতনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন বাজওয়া—এমন অভিযোগ করেছেন ইমরান খান।
তিনি আবারও দাবি করেন, পিটিআই দলের ইশতেহার চুরি করা হয়েছে এবং 'দলটিকে দখল করে নেওয়ার উদ্যোগ চলছে'।
ইমরান খান বলেন, স্ত্রী বুশরা বিবির মাধ্যমে তার ওপর চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং যারা তার স্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন, তাদের উদ্দেশ্য পিটিআইকে অসংগঠিত করে তোলা।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, পাকিস্তান ১৯৭০ এর মতো সংকটের মুখে রয়েছে।