এমভি আব্দুল্লাহতে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী

আফ্রিকা, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-03-18 20:29:11

২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ উদ্ধারে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালি পুলিশ ও আন্তর্জাতিক নৌবাহিনী বলে জানিয়েছে দেশটির পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশ।

সোমবার (১৮ মার্চ) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুই দিন আগে ভারতীয় কমান্ডোরা জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনে অভিযান চালিয়ে ১৭ ক্রুকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের পর এমভি আবদুল্লাহয় অভিযানের এই পরিকল্পনা করা হয়েছে।

মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জলদস্যুরা জাহাজটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিকের সবাইকে জিম্মি করে। নাবিকরা সবাই বাংলাদেশি।

পান্টল্যান্ড সোমালিয়ার একটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, যেখানে অনেকগুলো জলদস্যু দলের ঘাঁটি রয়েছে। ওই এলাকার পুলিশ বাহিনী বলেছে, এমভি আবদুল্লাহকে দখল করে থাকা জলদস্যুদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর অভিযানের একটি পরিকল্পনা তারা জানতে পেরেছে। সে কারণে তারা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং অভিযানে অংশ নিতেও প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি থাকা ২৩ নাবিকের খাবার ও পানি নিয়ে সংকট দেখা দিতে পারে। কেননা জিম্মি নাবিকদের পাশাপাশি জলদস্যুরা খাবার খাওয়ায় জাহাজে থাকা খাবার ও পানির চাহিদা বেড়েছে।

বাণিজ্যিক জাহাজে কর্মরত একজন নাবিক জানান, এক বন্দর থেকে আরেক বন্দরে যেতে যত দিন সময় লাগে, তার চেয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহের বেশি খাবার মজুত রাখা হয় জাহাজে। তবে কোনো কারণে গন্তব্যে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে—এমন আশঙ্কায় শুকনো খাবার বেশি দিনের জন্য মজুত রাখা হয়। এমভি আবদুল্লাহ-তে ২৫ দিনের খাবারের মজুদ ছিল। পাশাপাশি ২০০ টন সুপেয় পানি ছিল। কিন্তু জলদস্যুরাও খাবারে ভাগ বসায় সেটি এখন দ্রুতই কমে আসবে।

এমন পরিস্থিতিতে খাবার ও পানির বিষয়ে জিম্মি জাহাজের মালিক কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে খাবারের বিষয়টি শুরুতে আলোচনা করা হবে। তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জাহাজে খাবার ও পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েও পরিকল্পনা নিয়েছি আমরা। এখন যত দ্রুত দস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ হবে, ততই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর