ভোট কারচুপির অভিযোগে আইএমএফকে চিঠি লিখবেন ইমরান খান

ভারত, আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-02-24 14:13:17

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির প্রধান ইমরান খান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন। পাকিস্তানের ১৬তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে ভয়াবহ অনিয়ম এবং ভোটে কারচুপির অভিযোগ এনে এ প্রসঙ্গেই তিনি কথা বলবেন বলে জানান।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আদিয়ালা কারাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইমরান খান তার পরিকল্পনার কথা জানান।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইমরান খান বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে ভয়ানক কারচুপির ব্যাপারে আমরা আইএমএফকে চিঠি দেব। নির্বাচনে কারচুপির কারণে এই সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়েছে। আমরা এই কারচুপির তদন্তও চাইব।’

ইমরান খান আরও বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে নতুন ঋণ দারিদ্র্য আরও বাড়াবে। বিনিয়োগ ছাড়া ঋণ চাওয়া দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। তাই নতুন ঋণ পাওয়ার আগে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনের পর শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে পাঞ্জাবের নবনির্বাচিত সদস্যরা শপথ নেন। প্রথম দিনের অধিবেশনে ৩১৩ জন আইনপ্রণেতা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ২১৫ জন পিএমএল-এন এবং এর সহযোগী দলগুলোর। বাকি ৯৮ জন ছিলেন সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সদস্য।

শনিবার গোপন ব্যালটের মাধ্যমে পাঞ্জাব প্রাদেশিক সরকারের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত করা হবে। তবে পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠন নিয়ে অচলাবস্থা এখনও কাটেনি।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) গুরুত্বপূর্ণ নেতা কামার জামান কায়রা জানিয়েছেন, আগামী ২৭ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকার গঠনের চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে।

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এছাড়া মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পাকিস্তান (এমকিউএম) ১৭টি, অন্যান্য দল ১৭টি, পিপিপি ৫৪টি এবং পিএমএল–এন পেয়েছে ৭৫টি আসন।

তবে বেশি আসনে জিতেও সরকার গঠন করতে পারছে না ইমরান খানের দলের স্বতন্দ্র প্রার্থীরা। কারণ সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৩৪ আসন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর