সোনার বার উপহারে ‘বাগদান’ সারলেন ৪ বছরের শিশু!

, ফিচার

ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2024-01-13 19:53:34

চরিত্র কিংবা দৃশ্য- সবকিছুতেই পাবেন বাস্তব সিনেমার ফ্লেভার। গল্পের স্ক্রিপ্টটি এরকম- ৪ বছরের এক নার্সারির ছাত্র তার সহপাঠী বান্ধবীকে সোনার বার উপহার দিয়ে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে। সে সোনার বারের মূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা। ‘বাগদানের’ উপহার হিসেবে তার বান্ধবীকে সোনার বারটি দিয়েছে সে। বাগদানের পরপরই অনেক দূর পাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিরও বিনিময় হয় শিশুযুগলের মাঝে। কিন্তু পরিবারের হস্তক্ষেপে এই গল্প আর বেশিদূর এগোতে পারেনি...।

এতটুকু পড়ে ঘটনাটি সিনেমার কোনো গল্প মনে হলেও আদৌ তা নয়। এটি যথার্থ সত্য একটি ঘটনা। গত বছরের ২২ ডিসেম্বরে চীনের একটি নার্সারি স্কুলে এটি মঞ্চায়ন হয়। তারপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়। দেশটির গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে এমন খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের একটি নার্সারি স্কুলের শিশু তারই সহপাঠীকে ‘বাগদানের’ উপহার হিসেবে একটি সোনার বার উপহার দিয়েছে; যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬ লাখ (১৫ হাজার মার্কিন ডলার)। ঘটনাটি গত বছরের ২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সিচুয়ান প্রদেশের গুয়াংআনে ঘটেছে।

বান্ধবী বাবা-মাকে উপহারটি দেখানোর তারা হতবাক এবং বিভ্রান্ত হয়ে যায়। পরে তারাই শিশুটিকে পরের দিন তার সহপাঠীর কাছে উপহারটি ফেরত দিতে বলেন।

কন্যাশিশুটির মা বলেন, আমরা ছেলের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করি। ঘটনাটি শোনার পর ছেলের পরিবার আমাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল এবং তারা বলেছিল যে, এই সোনার বার তার ছেলের ভবিষ্যৎ স্ত্রীর জন্য গচ্ছিত রাখা হয়েছে।

ছেলেটির পরিবারও এটা আশা করেনি যে তার ছেলে গোপনে এটি আমার মেয়েকে দিবে, তিনি যোগ করেন। তিনি অন্যান্য অভিভাবকদেরও সজাগ থাকার আহ্বান জানান যাতে তাদের সন্তানদের সাথে এমন কিছু না ঘটে।

ইতিমধ্যে, গল্পটি অনলাইনে বিনোদন এবং হাসির জন্ম দিয়েছে এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের ভাগ করা এই আরাধ্য বন্ধুত্ব পছন্দ করেছে। কেউ কেউ এতে তাদের নিজস্ব মতামতও তুলে ধরেছে।

একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, 'এই ছোট্ট ছেলেটির সাহস আছে, কেবল অকপটে ২০০ গ্রাম সোনা দিয়ে দিলো।'

অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, 'আমার শাশুড়ি আমাকে একটি ব্রেসলেট দিয়েছেন এবং আমার ছেলে জিজ্ঞেস করেছিল সে এটি তার বান্ধবীকে দিতে পারবে কিনা? কারণ তার বান্ধবী দেখতে সুন্দর। এতে আমি মনে করি আমার 'কৃতজ্ঞ' হওয়া উচিত কারণ সে আমাকে প্রথমে এটি জিজ্ঞেস করেছে।’

তৃতীয় একজন বলেছেন, 'আমার মেয়ে প্রথম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় তার একটি ছেলে সহপাঠী তাকে নগদ ২০০ ইউয়ান দিয়েছিল। সেই দিন সন্ধ্যায় ছেলেটির বাবা-মাকে সেই টাকা ফেরত দিয়েছিলাম।'

উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে চীনের এক তরুণ তার মায়ের একটি সোনার চুড়ি তার এক বান্ধবীকে দিয়ে দেয়। পরে ছেলেটির মা জানান, তার শিক্ষক এই ঘটনাটি জানতে পেরে তার মাকে সতর্ক করেন। মা যখন ছেলেটিকে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করে তখন সে এটি একটি মেয়েকে উপহার হিসেবে দিয়েছে বলে জানায়। মেয়েটির সাথে তার বন্ধুত্ব হয়েছিল কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনাকালীন সময়ে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর